বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২, ০৮:২৮:২৪

মেয়েকে অ'পহ'রণের পর গু'মের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

মেয়েকে অ'পহ'রণের পর গু'মের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

রংপুর: রংপুরের পীরগাছায় নিজ মেয়েকে অ'পহ'রণের পর গু'মের মা'মলায় বাবা লুৎফর রহমানকে (৮০) যাবজ্জীবন কা'রাদ'ণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জ'রিমা'না করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নি'র্যা'তন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি লুৎফর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ও মামলা সূ'ত্রে জানা গেছে, উপজেলার মকরমপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন একই এলাকার আব্দুর রশীদ নামে এক যুবককে ভালবেসে বিয়ে করেন। এ নিয়ে রাবেয়ার পরিবারের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বি'রো'ধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাবেয়ার ভাসুর হোসেন আলী হ'ত্যাকা'ণ্ডের শি'কার হন। এ ঘটনায় রাবেয়ার বাবাসহ পরিবারের লোকজনকে আ'সা'মি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় লুৎফর রহমানসহ অন্য আ'সামিরা নিম্ন আদালতে খা'লা'স পান। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের একমাত্র চা'ক্ষু'স সা'ক্ষী ছিলেন তার মেয়ে রাবেয়া খাতুন।

ঘটনার পর থেকে বাবা লুৎফর রহমান তার মেয়ে রাবেয়া বেগমকে হ'ত্যার পর লা'শ গু'ম করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাবেয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কৌ'শলে পীরগাছার চৌধুরানী বাজারে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান লুৎফর রহমান ও তার সহযোগীরা। রাবেয়া তার বাবার ম'তল'ব বুঝতে পেরে চিৎ'কার শুরু করলে বা'ধ্য হয়ে লুৎফর রহমান তার মেয়ে রাবেয়াকে বাসায় ফে'রিয়ে নিয়ে যান। এরপর থেকে রাবেয়া বেগমের কোনো স'ন্ধা'ন না পাওয়ায় তার ছেলে রাঙ্গা মিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে মায়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন রাঙ্গা মিয়া।

দীর্ঘ তদ'ন্ত শেষে বাবা লুৎফর রহমানসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে এক আসামি মৃ'ত্যুবরণ করেছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে