শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪, ১০:১৫:৩৪

সূর্যের দেখা মিলল টানা ১১ দিন পর

সূর্যের দেখা মিলল টানা ১১ দিন পর

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রংপুরে টানা ১১ দিন তীব্র শীত ও কুয়াশায় ঢাকা থাকার পর দেখা মিলেছে সূর্যের। সূর্যের তাপ বেশি না থাকলেও স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে। এতে রাস্তাঘাট ও হাট বাজারে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে।

প্রায় দুই সপ্তাহ হাড় কাঁপানো শীতের পর বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের আকাশে সূর্যের দেখা মেলে। 

রংপুর তাজহাট এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ পর বেলা মুখ তুলে চাইলো। শীতে ঘর থেকে বাইরত (বাইরে) যাওয়া যায় না। কাজকর্ম করা যায় না। খুব কষ্টতে (কষ্টে) আছিনো। এখন ভালো লাগছে।’

রংপুর ঘাঘট পাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম রোদ পোহাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঠান্ডায়ে জমে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। গত কয়েকদিন রাতদিন কুয়াশা পরছিল। রোদ ওঠায় কুয়াশা নেই। রোদে বসে আছি। রোদের তো তাপ নেই তবুও মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ হাওলাদার বলেন, ‘এতো শীত আর ঠান্ডা সবার জন্য কষ্টকর। একটু অসাবধান হলেই অসুখ-বিসুখ ধরছে। বুড়ো মানুষগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। আজ রোদ উঠেছে কিন্তু ঠান্ডা বাতাসও আছে।’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারুক মিয়া। তিনি বলেন, ‘শীতের কারণে কাপড় ধুইতে পারিনি। অনেকগুলো ময়লা কাপড় জমেছিল। আজ ধুয়ে দিলাম।’

এদিকে শীতের দাপটে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নানা বয়সের মানুষ। এরমধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন মারাও গেছেন। শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে ঠান্ডা না লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে বাইরে বের হলে মাস্ক অথবা কোনো কিছু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখারও পরামর্শ দেন।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে ২১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও লালমনিরহাটের ৯ দশমিক ৯, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে