রংপুর: রংপুরে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) আয়োজিত ইফতার মাহফিলের আমন্ত্রন পত্রে এনডিএফের তথাকথিত শরিক দল এনডিপি‘র সমন্বয়কারী হিসাবে নিজের নাম দেখে বিস্মিয় প্রকাশ করে, তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ-এর রংপুর জেলা সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য রেজাউল করিম রীবন বলেছেন, ৫ জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বানের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ২০ দলীয় জোট ভাংঙ্গা ও জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আর তারই অংশ হিসাবে জাতীয়তাবাদী আবরনে ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয়ে উঠেছে।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বহুদলীয় গণতন্ত্রের মহানায়ক জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া, আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রবাদপুরুষ জননেতা শফিকুল গানি স্বপনের পদর্শিত পথে আমরা দলের বর্তমান নেতৃত্ব চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসবি এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া নেতৃত্বে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো। কোন ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আমাদের ঐক্যকে বিনষ্ট করতে পারবে না।
তিনি বলেছেন, যে বা যারা ব্যাক্তিগত সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিকভাবে নাম ব্যবহার করে ন্যাপ-এর ঐক্যকে ধ্বংস করতে চায় তারা মূলত আওয়ামী লীগেরই প্রেতাত্মা মাত্র। তাদের মনে রাখা দরকার যে, ন্যাপ‘র বর্তমান নেতৃত্ব আদর্শের রাজনীতি করে। শুধুমাত্র ক্ষমতার রাজনীতিতে তারা বিশ্বাসী নয়। আর এই কারনেই অর্থ কিংবা ক্ষমতায় লোভ দেখিয়ে ন্যাপ‘র নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা যাবে না, বিভ্রান্তও করা যাবে না।
রেজাউল করিম রীবন আজ শনিবার সকালে রংপুরের রাধাবল্লব হাউজে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ-এর রংপুর জেলা ও মহানগরীরর যৌথ সভায় সভাপতি হিসাবে বক্তব্য রাখেিলন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আমিনুর রহমান, শামিম আশরাফি, আসমা রহমান জনি, মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি আকরাম আল ইমাম, সাধারন সম্পাদক মোঃ হায়দার চৌধুরী, সাংগনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, জেলা নেতা মোস্তফা ফারুক লিতন, ময়নাল ইসলাম, যুবরাজ চৌধুরী প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অন্যতম শরিক জননেতা জেবেল রহমান গানি ও জননেতা এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া নেতৃত্বে বাংলাদেশ ন্যাপ যখন আগামী প্রজন্মের প্রগতিশীল ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে এক আদর্শিক প্লাটফর্মে পরিনত হচ্ছে তখন সরকারের পৃষ্ট পোষকতায় জাতীয়তাবাদী রাজনীতির খোলশে নীতি ও নৈতিকতা বিবর্জিত এক ধরনের রাজনীতিবিদরা ২০ দল ও ন্যাপকে নিয়ে য়ড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ২০ দল ও ন্যাপ‘র বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
২৭ জুন ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস