রংপুর : প্রশাসন ছাড়াই ছাত্রলীগকে মাঠে নেমে লড়াই করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও রংপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জহির আলম নয়ন। তিনি বলেছেন, রংপুরের যেকোনো প্রান্তে ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদল লড়তে প্রস্তুত। ২০ মিনিটের বেশি ছাত্রলীগকে টিকতে দিব না। ছাত্রলীগের একজনও সোজা হয় দাঁড়াতে পারবে না।
বোরবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হল থেকে ছাত্রদলের কর্মীদের পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগকে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই ছাত্রদল নেতা।
জহির আলম নয়নের ‘Jcd Nayon’ নামের ফেসবুক আইডিতে দেয়া একটি পোস্টে এ হুশিয়ারি দেখা গেছে।
‘তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ এবং ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রহসনের রায়ের প্রতিবাদে গতকাল (শুক্রবার) ছাত্রদল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিক্ষোভ মিছিল করায় হলে ঘুমন্ত অবস্থায় আলামিন ও শাহিন নামের বেরোবি ছাত্রদলের ২ জন কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের কুলাংগাররা চোর ডাকাতের মতো করে তাদের রুমে ঢুকে আক্রমণ করে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং প্রচণ্ড মারধোর করে পুলিশ পাহারায়, পুলিশ ক্যাম্পাস ঘিরে রাখছে। এখনও অনেক নেতাকর্মীকে হলে আটকিয়ে ছাত্রলীগ নির্যাতন চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি। ছাত্রলীগকে স্পষ্টভাবেই বলছি মধ্যরাতে হলে ঘুমিয়ে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর এরকম অতর্কিতে পুলিশ পাহারায় হামলা করে প্রমাণ করে দিল যে ছাত্রলীগ কাপুরুষের দল। ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম তোমাদের যদি শক্তি ও সাহস থাকে তো পুলিশ, র্যাব এসব বাদে রংপুরের যেকোনো প্রান্তে তোমাদের সঙ্গে আমরা লড়তে প্রস্তুত, ২০ মিনিটের বেশি তোমাদের টিকতে দিব না। ছাত্রলীগের একজনও সোজা হয় দাঁড়াতে পারবে না। আর এসব কিছুর মাশুল দিতে হবে হবেই।’
উল্লেখ্য, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ক্যাম্পাসে ঝটিকা মিছিল করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ শুখতার ইলাহী হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী হলে অবস্থানরত ছাত্রদল কর্মী ছাড়াও সাধারণ ছাত্রদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। এর মধ্যে কামরুল ইসলাম ও শুভ নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
রোববার বিকেলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি থমথমে মনে হলে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
২৫ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম