নিউজ ডেস্ক: আমার স্ত্রী শিলা খাতুন, আমার কথা নয় তার বাবা মা ও বোন বোনাইয়ের কথা শোনে। এ কারণে সে কাউকে কিছু না বলে এক মাস আগে আমার একমাত্র পুত্র সন্তান রোহানকে নিয়ে চলে গেছে। পরে জানতে পেরেছি সে ভারতে আমার ভায়রা মিলন ও তার স্ত্রী শিল্পীর কাছে আছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন কলারোয়ার বাকসা গ্রামের ভ্যানচালক রুস্তম আলি। রুস্তম বলেন আমার স্ত্রীর ভাই মজনু, বাবা জালাল বিশ্বাস ও মা আমেনা খাতুন সব সময় শিলাকে কুপরামর্শ দিতো। ভারতে থাকা ভায়রা মিলন ও তার স্ত্রী শিল্পীর কাছে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই আমি তাতে বাধা দিতাম। তিনি বলেন এক মাস আগে ভ্যান চালাতে বাড়ির বাইরে যাই। ফিরে এসে দেখি আমার স্ত্রী ও ছেলে ঘরে নেই। শ্বশুর বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে বললো বাড়ি যাও সে সময় মতো যাবে।
দুদিন পর আবার গেলে আমার সাথে শ্বশুর পরিবারের লোকজন খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। রুস্তম অভিযোগ করে বলেন আমার স্ত্রীর খোঁজ খবর নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভারতে অবৈধভাবে যাওয়া ভায়রা মিলন তার স্ত্রী শিল্পী ও আমার স্ত্রী শিলা আজ ২৬ ডিসেম্বর একটি ভারতীয় নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়েছে।
বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় দেবে বলে হুমকি দিয়েছে। রুস্তম বলেন আমি ভ্যান চালিয়ে দিন চালাই। আর্থিক সামর্থ নেই। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ফেরত চাই। আমি বিচার চাই ভায়রা মিলন, শালিকা শিল্পী এবং শ্বশুর পরিবারের সদস্যদের। এ ব্যাপারে রুস্তম সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের সহায়তা কামনা করেছেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস