সাতক্ষীরা থেকে : নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সহকারি পাইলট পৃথুলা রশিদ (২৪) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামের মেয়ে। সে উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের কাজল হোসেন ও রাফেজা বেগমের একমাত্র মেয়ে।
এদিকে, পৃথুলা রশিদরের গ্রামের বাড়ি উপজেলার ৮নং কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুরে চলছে শোকের মাতম। এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিতা-মাতা ও স্বজনেরা।
খুব শীঘ্রই ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার কথা ছিল তার। কথা ছিল আসছে আমের মৌসুমে বাড়িতে এসে আম খাবে। পৃথুলা রশিদের গ্রামের বাড়ি কলারোয়ার ইলিশপুরে হলেও জন্ম-বেড়ে ওঠা ঢাকা ও দেশের বাইরে। তাই এখানে তার বসবাস ছিল না।
পৃথীলা রশিদের চাচা-কামাল হোসেন ও সহিদুল আলাল বলেন, কোটি টাকা খরচ করে গড়ে তোলা জাতীয় সম্পদে রুপ নিয়েও শেষ রক্ষা হল না। চলে গেল পরপারে। সবার কাছে দোয়া চান তারা।
তার চাচী আরো বলেন, এ মাসের গ্রামের বাড়িতে আম খেতে আসা কথার ছিল তার। তবে আর আসা হলো না। ছুটিতে এসে ঘুরে ফিরে বেড়াবে স্বজনদের বাড়িতে অপেক্ষায় ছিল এক সময়ের খেলার সাথীরা। চাচাতো বোনেরা ছিল অপেক্ষায় আর ফিরে আসেনি আসবে না কোন দিন চলে গেছে পরপারে। এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে তার অপেক্ষায় ছিল চাচাত বোন উম্মে ইলমা ও উম্মে জান্নাতি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিধস্ত হওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফাস্ট অফিসার ও কো-পাইলট ছিলেন পৃথুলা। মরণকালের অন্যতম মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
এমটিনিউজ/এসবি