বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪৯:৩৩

বিএসএফ’র গুলিতে দু’জন নিহতের ঘটনায় পতাকা বৈঠক

 বিএসএফ’র গুলিতে দু’জন নিহতের ঘটনায় পতাকা বৈঠক

আব্দুর রহমান মিন্টু, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের তারালিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি গরু রাখাল নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় তলুইগাছা বিওপি’র চারাবাড়ি নোম্যানস ল্যান্ডে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবি’র সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান হোসেন। অপরদিকে, ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র ৭৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাকেশ কুমার। বৈঠক শেষে লে. কর্নেল আরমান হোসেন জানান, বৈঠকে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি গরু রাখাল নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। তারা দুঃঘ প্রকাশ করে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে জানিয়েছে। বৈঠকে বিএসএফ বাংলাদেশি গরু রাখালদের মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। বৈঠক শেষে ফিরে যেয়েই তারা মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা বিওপির অধীনস্থ কেড়াগাছি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের তারালি এলাকায় নিহত হন কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকার লোকমান সরদারের ছেলে আব্দুল খালেক ও সদর উপজেলার পাচরখী গ্রামের শের আলীর ছেলে নজরুল। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদহা ইউনিয়নের তলুইগাছা ওয়ার্ডের মেম্বর শাহজান আলী জানান,, বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েকজন রাখাল ভারত থেকে গরু নিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছিল। বিএসএফ’র ৭৬ ব্যাটালিয়নের তারালি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় তারা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয় । এদিকে, নজরুল ও খালেক নিহত হওয়ার খবর শুনে পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। অতিদরিদ্র পরিবারের কর্তা নজরুল ও খালেককে হারিয়ে সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন নজরুল ও খালেকের পরিবারের সদস্যরা। ২৫ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে