জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে অনৈতিক সম্পর্ক করতে গিয়ে ভাবির হাতে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন মাসুদ রানা নামের এক দেবর।
শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবককে গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মাসুদ রানা দেবহাটা উপজেলার বেজোরাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় চন্ডিপুর গ্রামের নাজমা খাতুনের প্রতিবেশী সবুজ আহম্মেদ বলেন, বিয়ের পর নাজমা খাতুনের সঙ্গে চাচাতো দেবর মাসুদ রানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাজমা খাতুনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে মাসুদ রানা। পরবর্তীতে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় শনিবার রাতে কৌশলে ডেকে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় নাজমা।
এ বিষয়ে সখিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, ৫ বছর আগে বেজোরাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমার। তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু ছেলের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয় নাজমা। এটা নিয়ে কয়েক মাস আগে থেকেই ঝগড়া চলছিল তাদের।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে বাবার বাড়ি দেবহাটার চন্ডিপুর গ্রামে চলে যান নাজমা। রাত ১০টার দিকে মোবাইলে ভাবির সঙ্গে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন মাসুদ রানা। এ সময় ভাবিও তাকে রাতে বাসায় আসতে বলেন। ওইদিন গভীর রাতে বাসায় গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চাইলে দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে নেন ভাবি।
দেবরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুতর অবস্থায় রাতেই তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা বাজারের শেরে বাংলা ক্লিনিকে ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাসুদ রানা।
কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা বাজারের শেরে বাংলা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, শনিবার রাতে মাসুদ রানাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ক্লিনিকে আনা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ রানার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলের এমন ক্ষতি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার নাজমা খাতুন ও তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল রিসিভ করেননি তারা।
দেবহাটা থানা পুলিশের ওসি সৈয়দ আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এ নিয়ে কোনো পক্ষই আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।-জাগো নিউজ