মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩০:৪৭

তালায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি

তালায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি

সেলিম হায়দার,তালা প্রতিনিধিঃ জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির তালা উপজেলার অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। অনেক এলাকার টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে আছে। এসব এলাকায় গো-খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ শিশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরি সভা করেছে। এ সভায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সবাই। বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মনে করেন সভায় উপস্থিতরা। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লূৎফুল্লাহ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বন্যার একটি জরুরি সভায় তিন দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাঁরা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাঁদের এখন জলাবদ্ধতার কবলিত এলাকায়ও দেখা যাচ্ছে না। তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা জিআর-এর ১০ মে. টন চাউল জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বরাদ্দের চাউল ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করে ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি ইউনিয়নে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। ঘোষনগর গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু প্রমা আইচ জানায়, পানির মধ্যে বাবা-মা’র সঙ্গে বসবাস করছে। দিনে একবার রান্না করতে পারে তাঁর মা। পানির কারণে রান্নার জায়গা না থাকায় এ অবস্থা তাঁদের। গঙ্গারামপুর এলাকার মানিক পাড় জানান, কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের সময় এলাকায় পানি ঢুকছে। এ পানি সরছে না। প্রতিদিন পানি বাড়ছে। বাড়ির গরু ছাগল হাঁস-মুরগী নিয়ে ঝামেলায় আছি। পানির মধ্যে ওদের কোথায় কি করবো। ওদের খাবার ভিজে নষ্ট হচ্ছে। ঘোষনগর এলাকার বিষ্টু দাশ জানান, সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে তিনি পানির মধ্যেই বসবাস করছেন। বাচ্চাদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাঁদের। এমন বক্তব্য ওই এলাকার অনেকের।

খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ বাবলু জানান, কাশিমনগর ও ঘোষনগর এলাকা দিয়ে মাঝে মাঝে বাঁধ এলাকায় পানি ঢুকছে। মানুষ বাঁধ দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছে। দ্রুত ঘোষনগরের বাঁধ নির্মাণ করতে না পারলে একটি বড় এলাকা প্লাবিত হবে। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, নতুন করে উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় ভেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

৪ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে