সিরাজগঞ্জ থেকে : ঘড়িতে তখন সকাল ৮টা ২০ মিনিট। তখনও বিদ্যালয়ের নীল রঙয়ের ইউনিফর্ম পড়া। গলায় ঝু'লছে বিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র। আর মাত্র ৫০০ গজ এগিয়ে গেলেই প্রিয় বিদ্যালয়। কিন্তু এতটুকু পথ আর পারি দেয়া হলো না। হাঁটতে হাঁটতে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের সামনে এসে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে মৃ'ত্যুর কোলে ঢলে পড়ল মেধাবী শিক্ষার্থী কানিছ ফাতেমা কনা।
রোববার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ভ্যানস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। কনা উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের ঘড়গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে ও তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয়রা জানান, সকালে মা শেফালী খাতুন মেয়েকে নাস্তা খাইয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় তুলে দেন।
তারপর প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তাড়াশ ভ্যানস্ট্যান্ডে নেমে হেঁটে বিদ্যালয়ে আসছিল তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির (ক শাখা) শিক্ষার্থী কানিছ ফাতেমা কনা। ঘড়িতে তখন সকাল ৮টা ২০ মিনিট। তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের সামনে এসে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যায় সে। সেই সঙ্গে নাক-মুখ দিয়ে গল গল করে র'ক্ত বের হতে থাকে।
পথচারীরা বিষয়টি দেখে কনাকে দ্রুত তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক খায়রুল বাশার তাকে মৃ'ত ঘোষণা করেন। এদিকে কনার মৃ'ত্যুর খবর মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি, সাবেক প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামসহ অন্য শিক্ষক-কর্মচারী ও সহপাঠীরা। কনার হঠাৎ মৃ'ত্যুতে কা'ন্নায় ভে'ঙে পড়ে তার সহপাঠীরা।
তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক খায়রুল বাশার মৃ'ত্যুর তথ্য নি'শ্চিত করে বলেন, ময়'নাতদ'ন্ত ছাড়া স্কুলছাত্রী কনার মৃ'ত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি জানান, কনার এমন মৃ'ত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহ'ত। তার শোকাহ'ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই।