সিরাজগঞ্জ : ভারতের আসাম রাজ্য থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ হয়ে বাংলাদেশে আসা বুনো হাতিটি এখনো সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার যমুনার দুর্গম ছিন্নারচরে অবস্থান করছে।
তিন সপ্তাহের বেশি সময় আগে ভেসে আসা হাতিটি ব্রহ্মপুত্র-যমুনার চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ালেও এটি উদ্ধারে বন বিভাগের তেমন তৎপরতা নেই। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, বুনো হাতিটি এখনো সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মনসুরনগর ইউনিয়নের যমুনার ছিন্নারচরেই আছে। বুধবার দিনভর ছিন্নার চরে পাট ও ক্যাইশা খেতে থাকলেও এখন পার্শ্ববর্তী দুর্গম নির্জন স্থানে রয়েছে। নাটুয়ার পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা হাতিটির খাদ্য হিসেবে চর থেকে কলাগাছ সরবরাহ করছেন।
নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জবায়দুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, হাতিটি আজ বৃহস্পতিবার অনেকটাই শান্ত। খাবার হিসেবে আপাতত চরের বিভিন্ন স্থান থেকে কলাগাছ এনে হাতির কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। যে স্থানে হাতিটি অবস্থান করছে সেটি একাবারেই লোকালয় শূন্য এবং চারপাশে পানি।
তিনি বলেন, মিডিয়ার দু’একজন কর্মী এখানে থাকলেও বন-বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ দফতরের কেউই নেই। তারা আসবেন বলে শুনেছি। ৪জন পুলিশ সদস্য পাহারার দায়িত্বে রয়েছি।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে মাইকিং করে। হাতিটিকে যেন কেউ বিরক্ত না করে সে বিষয়ে সচেতন করা হয়।
গত ২৭ জুন সকালে প্রথম হাতিটিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বাগুয়ার চরে দেখা যায়। এরপর কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজীবপুর; জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ; গাইবান্ধার ফুলছড়ি; সাঘাটা, বগুড়ার সারিয়াকান্দির কাশিয়াবাড়ি চর হয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাতিটি সিরাজগঞ্জের ছিন্নারচরে অবস্থান করছে।
হাতিটি উদ্ধারে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগের একটি সূত্র।
বাংলাদেশের বনবিভাগ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, পানি না কমা পর্যন্ত হাতি উদ্ধারে হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। সেটা দু`মাস বা তিনমাসও লাগতে পারে।
২১ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম