মঙ্গলবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২০, ০২:০৯:১৩

ধ'র্ষণ করা তরুণীকে আবার বাড়িতে খুঁ'জতে এসে না পেয়ে বখাটেরা তাঁর বাবাকে পি'টিয়েছে

ধ'র্ষণ করা তরুণীকে আবার বাড়িতে খুঁ'জতে এসে না পেয়ে বখাটেরা তাঁর বাবাকে পি'টিয়েছে

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় একবার আটকে রেখে ধ'র্ষণ করা তরুণীকে (২৭) আবার বাড়িতে খুঁ'জতে এসে না পেয়ে বখাটেরা তাঁর বাবাকে পি'টিয়েছে বলে অভি'যোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতের এ ঘ'টনায় অভি'যান চালিয়ে জগন্নাথপুর থানা-পুলিশ চারজনকে আট'ক করেছে। ৬৫ বছর বয়সী বাবা তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া নি'র্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছেন, এমন একটি ভি'ডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটিকে উ'দ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আ'টক চারজন হলেন লিটন মিয়া (৩০), আকাই মিয়া (২৭), আলম মিয়া (২৮) ও দিলাক মিয়া (২৫)। তবে প্রধান অভিযুক্ত শামীম মিয়াকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ, এলাকাবাসী ও ওই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত বছর আগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর দাম্পত্য বিরো'ধ দেখা দিলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বাবার বাড়িতে চলে যান। 

বখাটে শামীম মিয়া ওই তরুণীকে নানাভাবে উত্ত্য'ক্ত করতে থাকেন। এক মাস আগে শামীম তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। কিছুদিন আটক রেখে তাঁকে ধ'র্ষণ করেন বলে মেয়েটি অভি'যোগ করেন। শামীমের হাত থেকে বাঁ'চতে মেয়েটি নবীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে চলে যান। সোমবার রাত ১২টার দিকে বখাটে শামীম তাঁর লোকজনকে নিয়ে মেয়েটির বাবার বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে র'ড দিয়ে পি'টিয়ে গু'রুতর জ'খম করেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভি'যানে নেমে চারজনকে আট'ক করে।

মেয়েটির বাবার অভি'যোগ, শামীমের অ'ত্যাচারে মেয়েকে নিয়ে তিনি অনেক দিন ধরে বে'কায়দায় আছেন। বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনো প্র'তিকার পাননি। মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধ'র্ষণের ঘ'টনারও বিচার পাননি তিনি। লোকল'জ্জার ভ'য়ে মেয়েটি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে। মেয়েকে না পেয়ে শামীম ও তাঁর লোকজন আমাকে পি'টিয়ে র'ক্তাক্ত করে চলে যান।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান বলেন, ‘শামীম এলাকায় ব'খাটে হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরু'দ্ধে থানায় চুরি ও মাদ'কের মা'মলা আছে। মেয়েটিকে উ'ত্ত্যক্ত করা ও জোরপূ'র্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘ'টনা আমি লোকমুখে শুনেছি।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদ'ন্ত মুসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটিকে আমরা উ'দ্ধার করেছি। মূল অভিযু'ক্ত শামীমকে আ'টকের চেষ্টা চলছে। এ ঘট'নায় মাম'লার প্র'স্তুতি চলছে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে