এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে বেইলি সেতু ভেঙে বালুবোঝাই একটি ট্রাক নদীতে পড়ে গেছে। সোমবার (১৯ মে) ভোরে তাহিরপুর-আনোয়ারপুর সড়কের সজনার হাওর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেতু ভেঙে যাওয়ায় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই পথে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে নিয়ামতপুর থেকে অতিরিক্ত বালিবোঝাই ড্রাম ট্রাকটি সেতুর পশ্চিম পাশের স্টিলের বেইলি সেতু পার হওয়ার সময় ভেঙে পড়ে যায়। ৮০ ফুট দৈর্ঘের বেইলি সেতু স্টিলের পাত ও রেলিং দুমরে-মোচড়ে কুফা নদীর গভীর অংশে পড়ে এবং মূলসেতু ৭০ ফুট নিচে দেবে যায়। এ সময় ট্রাকের হেলপার ও চালক সামান্য আহত হন।
এলাকাবাসী সেতু এলাকায় বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকচালক ও হেলাপারকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান।
ফতেহপুর গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, ‘একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ব্যবহারের জন্য যে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানোর প্রয়োজন ছিলো তাও লাগায়নি সড়ক জনপথ বিভাগ। তাই ভারী হালকা মাঝারি সব ধরনের গাড়ি সেতু দিয়ে চলাচল করে। আজ এই পরিণতি ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।’
কলায়া গ্রামের হোসেন আলী বলেন, ‘তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জে বিকল্প সড়কে দ্রুত চলাচল করা যায়। বিশ্বম্ভরপুর কাঁচিরগাতি রোড দিয়ে সুনামগঞ্জ যেতে একঘণ্টা সময় বেশি লাগে। তাই এ রুটে প্রতিদিন শত শত যাত্রী চলাচল করেন। এ নিয়ে চার বার সেতু ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে।’
জিরাগ-তাহিরপুর গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘বিগত চার বছরে সেতু চারবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুফা নদীর স্রোতে ও সজনার হাওড়ে ঢেউয়ে পূর্ব-পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে মূলসেতু থেকে দূরে সরে গেছে। তাই সহজ জোড়াতালি দিয়ে দুপাশে বেইলি সেতু স্থাপন করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে। প্রতিবার মেরামতের জন্য যে টাকা ব্যয় হয়েছে তা খরচ করে একটি নতুন সেতু তৈরি করা যেত।’
সুনামগঞ্জ সড়ক জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘আগে ট্রাক উদ্ধার করে পরে সেতু সংস্কার করতে হবে। এতে ৭-৮ দিন সময় লাগবে। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে হবে। স্থানীয়ভাবে নৌকা দিয়ে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। এতো গভীর থেকে ট্রাক টেনে তুলতে ভারী ক্রেন লাগবে। সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’