ছাতক (সুনামগঞ্জ) : হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতকে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও মাহফিল আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ছাতকের জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া দারুল কোরআন মৈশাপুর মাদরাসার ৪৩তম বার্ষিক ইসলামি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মৈশাপুর গ্রামে আয়োজকদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক বিষয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন ওসি নাজিম উদ্দিন। প্রশাসন এখানে মাহফিল করার অনুমতি দিলেও বিতর্কিত বক্তা মামুনুল হককে মাহফিলে আনার অনুমতি দেয়নি।
এদিকে আয়োজকরা বলছেন, সব ধরনের বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে ইসলামি মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। তাকে সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল।
তবে পুলিশ বলছে, বিতর্কিত মাওলানা মামুনুল হককে ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মাদরাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা আব্দুস সামাদ জানান, ‘সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে দুই শতাধিক যুবককে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্মেলনের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে।’ রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, ‘মাদরাসার মাহফিলে মামুনুল হক যাতে না আসেন, সেটা দেখা হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া যদি তিনি আসেন তাহলে সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতিহত করা হবে।’
পরে এ বিষয়ে আবারও যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রোগ্রামের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তবে মামুনুল হক আসতে পারবেন না। এটা আমাদের শেষ বার্তা।’ আয়োজকদের এ তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।