মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট: ‘মাশাল্লাহ, আল্লায় বাঁচাইলা!’ এই কথা বলেই গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মান্ডারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার চাচাতো ভাই ফাহিম আহমদ চৌধুরী। শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে তামিমের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তার কথায় বোঝা গেল, এই মৃত্যু সংবাদে তারা (তামিমের স্বজনরা) উৎফুল্ল।
তামিমের কানাডা প্রবাসী কোনও স্বজন দেশে অবস্থান করছেন কিনা এ বিষয়টিও তার জানা নেই বলে জানিয়েছেন ফাহিম। তিনি জানান, তার বাবা নজরুল ইসলাম (তামিমের চাচা) গত রবিবার মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুতে তাদের পরিবার শোকাহত।
এদিকে তামিমের চাচা নূরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ভাতিজার মৃত্যুর বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান। এমনকি তার বাবার পরিবারের সঙ্গেও তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। তামিম দেশে কোথায় অবস্থান করতো-সে বিষয়েও তারা অবহিত ছিলেন না।
বিয়ানীবাজার বড় গ্রামের বাসিন্দা দুবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ জানান, তামিমের মৃত্যু সংবাদ তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দেখেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকার মানুষের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। ‘এলাকার মানুষ এতো পেরেশান না’-এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বড় গ্রামের মানুষ জঙ্গিবিরোধী। তার লাশ আনতে গ্রাম থেকে কেউ যাবে না।’
শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে ‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’-এ তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়।
তামিমের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে গত ১৭ আগস্ট বাংলা ট্রিবিউনের সিলেট প্রতিনিধি সরেজমিনে বিয়ানীবাজার যান। ভারত সীমান্তঘেঁষা তামিমদের গ্রামের বাড়ি বড়গ্রাম। সিলেট থেকে ওই গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৪৪ কিলোমিটার। তখন এলাকাবাসী তামিমের বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য জানাতে পারেননি। এমনকি তার তিন চাচার বাড়িঘরও তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ‘আমার লগ (সঙ্গ) ছাড়ি দেও, আমি আল্লাহর নামে আছি’ —পাঁচ বছর আগে বাবাকে এই চিঠি পাঠিয়ে তামিম আহমদ চৌধুরী নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছিলেন সিলেটের বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। এরপর পরিবারের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই বলেই জানেন এলাকার লোকজন।-বাংলা ট্রিবিউন
২৭ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম