নিউজ ডেস্ক: সিলেটের বিয়ানীবাজারে বড় গ্রামের বাসিন্দারা নিহত জঙ্গি তামিম আহমেদ চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করবেন না। আজ শনিবার বিশেষ অভিযান 'অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭' এ তামিম মারা যাওয়ার পর এই কথা জানান বিয়ানীবাজার বড় গ্রামের বাসিন্দা দুবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ।
তিনি বলেন, "টিভি দেখলাম। এলাকার মানুষ পেরেশান না। বড় গ্রামের মানুষ জঙ্গিবিরোধী। তার লাশ আনতে গ্রাম থেকে কেউ যাবে না।"
এদিকে তামিমের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তার চাচাতো ভাই ফাহিম আহমদ চৌধুরী বলেন, "মাশাল্লাহ, আল্লায় বাঁচাইলা!" তামিমের কানাডাপ্রবাসী কোনো স্বজন দেশে অবস্থান করছেন কিনা এ বিষয়টিও তার জানা নেই বলে জানিয়েছেন ফাহিম। তিনি জানান, তার বাবা নজরুল ইসলাম (তামিমের চাচা) গত রবিবার মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুতে তাদের পরিবার শোকাহত।
এদিকে তামিমের চাচা নূরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ভাতিজার মৃত্যুর বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান। এমনকি তার বাবার পরিবারের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তামিম দেশে কোথায় অবস্থান করতো- সে বিষয়েও তারা অবহিত ছিলেন না।
শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে 'অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭'-এ তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হন।
ভারত সীমান্তঘেঁষা তামিমদের গ্রামের বাড়ি বড়গ্রাম। সিলেট থেকে ওই গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৪৪ কিলোমিটার।
উল্লেখ্য, "আমার লগ (সঙ্গ) ছাড়ি দেও, আমি আল্লাহর নামে আছি"- পাঁচ বছর আগে বাবাকে এই চিঠি পাঠিয়ে তামিম আহমদ চৌধুরী নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছিলেন সিলেটের বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। এরপর পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই বলেই জানেন এলাকার লোকজন।-কালের কণ্ঠ
২৬ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস