মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:১৬:১১

সিলেটে খাদিজার উপর হামলার ঘটনায় চার্জশীট দাখিল

সিলেটে খাদিজার উপর হামলার ঘটনায় চার্জশীট দাখিল

রাহিব ফয়ছল,  সিলেট প্রতিনিধি  : সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে কুপিয়ে হত্যা প্রচেষ্ঠার ঘটনায় দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামী ছাত্রলীগ নেতা বদরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ। আগামী ১৫ নভেম্বর মামলার নির্ধারিত তারিখে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সিলেট অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম সারবন তহুরার আদালতে আলোচিত এই চার্জশিট দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট শাহপরান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহা: হারুন অর রশিদ। ঘটনার একমাস পাঁচদিন পর মামলাটির চার্জশিট দাখিল করা হলো।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মুসা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় শুধু বদরুলকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সাক্ষি হিসেবে ভিকটিম নার্গিস, মামলার বাদি নার্গিসের চাচা আব্দুল কুদ্দুসসহ ৩৬ জনকে রাখা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে ধারা যুক্ত করা হয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের কারণে ৩২৪, গুরুতর জখমের কারণে ৩২৬ এবং হত্যার উদ্দেশ্যে মারার জন্য ৩০৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

জেদান আল মুসা বলেন, ৮পৃষ্টার অভিযোগপত্রের সঙ্গে অন্যান্য আলামতের বিবরণসহ (সাব-অর্ডিনেট পেপার) ১৯৫ পাতা সংযুক্ত রয়েছে। মূলত; প্রেমপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নার্গিসকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে, অভিযোগপত্রেও এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পিপি মফুর আলী বলেন, আগামী ১৫ নভেম্বর মামলার নির্ধারিত তারিখে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালত চার্জশীট গ্রহণ করলে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।

অভিযোগপত্র দাখিলের সময় অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারি কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) আব্দুল আহাদ, সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি-শাহপরান) সাজ্জাদুল হাসান, মহানগরীর শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সুরঞ্জিত তালুকদার।

প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর বিকেলে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। ঘটনার পরপরই অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় পরদিন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

৫ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে তাকে নিজ জিম্মায় নেয় শাহপরাণ থানা পুলিশ। পরে ওইদিন দুপুরে সিলেট অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম উম্মে শারাবান তহুরার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে খাদিজাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দায় স্বীকার করে বদরুল। আদালত তার জবানবন্দী গ্রহণ করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। খাদিজা বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
৮ নভেম্বর,২০১৬/ এমটি নিউজ২৪ ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে