সিলেট: সিলেটের তারাপুর চা বাগান দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় শিল্পপতি রাগীব আলীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে রাগীব আলীর ছেলে আব্দুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির ও রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদকে ১৬ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত মামলার অপর আসামি তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আদালত আসামিদের চারটি ধারায় এ দণ্ড দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেটের পিপি মিসবাহউদ্দিন সিরাজ।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি তারাপুর চা বাগানের ভূমি বন্দোবস্তের নামে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় একই আদালত রাগিব আলী ও তার ছেলেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
এছাড়া মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর পর পলাতক থাকাবস্থায় পত্রিকা প্রকাশের কারণে রাগিব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অন্য একটি মামলার রায়ে দু'জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালত। বর্তমানে এসব মামলায় কারাগারে সাজা ভোগ করছেন রাগিব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই।
দেবোত্তর সম্পত্তির চা বাগান বন্দোবস্ত নেয়া ও চায়ের ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দুটি করেন।
তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করে দেয় পুলিশ। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের দুটি মামলা গত বছরের ১৯ জানুয়ারি পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছরের ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল এবং ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে এদিনই রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান।
১২ নভেম্বর দেশে ফেরার পথে জকিগঞ্জ সীমান্তে আবদুল হাই ও ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে গ্রেফতার হন রাগিব আলী।
৬ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস