রাহিব ফয়সাল, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের বহুল আলোচিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু আদালতের হাজতখানায় থাকা অবস্থায় তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন তাহলে কি হাজত খানায়ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন আসামীরা।
এমটি নিউজ টোয়েন্টফোর ডটকম এর পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলেধরা হলো :
“নেতাজি মনে রাখিয়েন আপনি যে নীতি অবলম্বন করে চলেছেন সেই রাজনীতি শিক্ষা আমাকে দিয়েছেন আমিও কিন্তু শিক্ষা নিয়েছি ।
আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। দলের ভাবমূর্তিতে যাতে কোনোরকম দাগ না পড়ে সেজন্য নিজেকে সচেষ্ট রেখেছি। সংযত ও সচেষ্ট থেকেছি যাতে সংগঠনের বদনাম না হয় তাই আজ আছি জেল হাজতে হেফাজতে”।
জানা যায়, রবিবার রাতে শহরতলী বালুচর এলাকা থেকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে নিপুকে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতের হাজতে থাকা অবস্থায় নিপু ব্যাক্তিগত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অবস্থান জানান দেন। এ নিয়ে সর্বমহলে তোলপাড় চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিপিবি-বাসদের সমাবেশে হিরণ মাহমুদ নিপুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলায় সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলামা সেলিমসহ কয়েকজন আহত হন। এছাড়া, সম্প্রতি সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিমকে নিজ অফিসে গিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে নিপুর বিরুদ্ধে। ওই প্রকৌশলী হুমকি পেয়ে থানায় দু’টি জিডিও দায়ের করেছেন। এছাড়া এমসি কলেজের জায়গা দখল ছাড়াও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে নিপুর বিরুদ্ধে।
১৬মে,২০১৬এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস