সিলেট: প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে মাকু রবিদাসের (৪৭) ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে। রাতেই তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করেছে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। শেষ ইচ্ছা হিসেবে মাকু রবিদাস কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বনফুলের মিষ্টি খেতে চান। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী এক কেজি বনফুলের মিষ্টি কিনে দেন কারা কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে নারকেল, ডাব, পোলাও খেতে চেয়েছেন মাকু রবিদাস। সেগুলোও নিজ খরচে কিনে এনে খেতে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ৮টায় পরিবারের ৫ সদস্য তার সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করে বের হয়ে যান। স্বজনদের মধ্যে ছিলেন মাকু রবিদাসের দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। মাকু রবিদাসের স্ত্রী প্রায় ৬ মাস আগে মারা গেছেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মাকু রবিদাস হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দারাগাঁওয়ের সমাধনী রবিদাসের ছেলে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেলসুপার মো. ছগির মিয়া বলেন, শেষ ইচ্ছা পূরণের পাশাপাশি তার পরিবারের লোকজনের দেয়া খাবার পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে খেতে দেয়া হয়। ২০০৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত নাইনকা রবিদাস হত্যা মামলায় (দায়রা ৫৭/২০০২) মাকু রবিদাসকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ২০০১ সালের ৩১ অক্টোবর রাতে মাত্র দুই হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতিবেশী নাইনকা রবিদাসকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।
পরবর্তীতে মাকু রবিদাস জেল আপিল (জেল পিটিশন নং-০৩/২০০৭) করলেও তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানালে তাও নামঞ্জুর হয়।
গত ১২ মে কারা অধিদফতরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফাঁসি কার্যকরের আদেশ দিলেও পবিত্র রমজান মাস থাকায় তা কার্যকর করা যায়নি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে জল্লাদ রাজুকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রবি মুণ্ডাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।-জাগোনিউজ
১৩ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ