ঠাকুরগাঁও থেকে : নারীকণ্ঠ নকল করে পুরুষদের ফাঁদে ফেলে তৈমুর। প্রথমে ওইসব ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। পরে তাদের সঙ্গে নারীকণ্ঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে সম্পর্ক তৈরি করে। নারীর পোশাক পরে ভিডিও চ্যাট করে। একপর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলে বিকাশে তাদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে।
তৈমুরের সঙ্গে আলাপকালে সে জানায়, শহরের রাজনৈতিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। নিজেকে মেয়ে দাবি করে মোটা অংকের টাকা নেয়ার পর (অপ্রকাশ যোগ্য শব্দ) জন্য ছেলে পাঠিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় সে। কিন্তু অভিনব কায়দায় সে নিজেই চলে যায় ওইসব করতে। শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলসহ নিরিবিলি স্থানে এসব কর্মকাণ্ড চলে।
নিজের পরিচয় গোপন রেখে অভিনব কায়দায় এইসব চালায় সে। নারী লোভীদের বশে আনতে কখনও নিজের মায়ের অসুস্থতা, কখনও নিজের নানা সমস্যা দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে সহায়তার নামে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। নারীকণ্ঠের সেই তৈমুরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন অনেক ভুক্তভোগী।
দীর্ঘদিন ধরে তাকে ধরতে নানা কৌশল নেয় পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের জালে আটকা পড়ে সে। শিবগঞ্জ বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। সে সদর উপজেলার মালীগাঁও গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে মেয়ে পরিচয় দিয়ে নারীকণ্ঠে শহরের বিভিন্ন পুরুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা চালিয়ে আসছে।
তৈমুর জানায়, শহরের অনেক নামীদামি ব্যক্তির সঙ্গে হয়েছে তার অনৈতিক সম্পর্ক হয়েছে। এসব কাজে শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল নিরাপদ বলে জানায় সে। - এমজমিন
২৭ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস