শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:৫৪:২২

পেঁয়াজ চাষে আশানুরূপ ফলন পেয়ে আনন্দে মুখরিত কৃষকরা

পেঁয়াজ চাষে আশানুরূপ ফলন পেয়ে আনন্দে মুখরিত কৃষকরা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আশানুরূপ ফলন পেয়ে আনন্দে মুখরিত কৃষকরা।

উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন কৃষক অলক চন্দ্র রায় ও পৌরসভায় কৃষক লুৎফর রহমান গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

কৃষি বিভাগের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কৃষিপ্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গ্রীষ্মকালীন জাত নাসিক রেড এন-৫৩ পেঁয়াজ চাষ শুরু করেন কৃষকরা।

রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এই মৌসুমে ১ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন। তার ক্ষেতে উৎপাদিত প্রতিটি পেঁয়াজের ওজন ৫০-৬০ গ্রাম। এ জমি থেকে কমপক্ষে ৮০ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন বলে তার আশা। তার উৎপাদিত পেঁয়াজ দেখে অন্যান্য চাষিও এ জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

কৃষক লুতফর রহমান বলেন, ‘প্রথমবারের মতো অসময়ে অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ চাষ করছি। গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ চাষাবাদ কঠিন হলেও দাম ভালো পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’

পীরগঞ্জে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উচ্চ তাপমাত্রার ও অধিক বৃষ্টি সহনশীল জাত, যা আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়। চারা লাগানোর ১০০-১১০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টর জমিতে ১১ থেকে ১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হয়। এই জাতের একেকটি পেঁয়াজের ওজন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।’

পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘একটা সময় আমাদের দেশে শুধু শীতকালীন পেঁয়াজের চাষাবাদ করা হতো। বর্তমানে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মাঝে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের সার ও বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে অত্র উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষাবাদ কার্যক্রমে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে