ঠাকুরগাঁও থেকে : একমুঠো ভাত চেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৯৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মা। ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। সেই মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন তিনি।
সন্তান ও বউমার নির্যাতনে রক্তাক্ত বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুনকে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল যখন কোলে করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলছিলেন সেই দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী নীরব হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। বুধবার সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসক ও সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখে গ্রামের মানুষ অবাক হয়ে যান।
এসময় ভিড়ের মধ্য থেকে গ্রামের এক নারী বলে উঠেন, যে কাজ করা দরকার ছিল নিজের ছেলের, সেটা করলেন বড় স্যার (জেলা প্রশাসক)। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শতবর্ষী বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুন বউমার কাছে (ছেলের স্ত্রী) খাবার জন্য ভাত চাইলে আকস্মিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ৬০ বছর বয়সী ছেলে বদরউদ্দিন ও তার স্ত্রী।
একপর্যায়ে তাদের মারধরের শিকার হন শতবর্ষী ওই বৃদ্ধা। এসময় বাম চোখের নিচে গুরুতর জখম হন তিনি। নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত মায়ের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। সেই মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আউয়াল।
আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে তিনি নির্যাতিত ওই মায়ের ছবি ফেসবুকে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিক, পুলিশ, প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ৭০ কিলোমিটার দুরে হরিপুর উপজেলার ৪নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে যেয়ে স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন বৃদ্ধার যে আঘাত তার চিকিৎসা করা সেখানে সম্ভব নয়।
তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে আসা হয় ঠাঁকুরগাও সদর হাসপাতালে। বর্তমানে সেই মা ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। রয়েছেন। সেখানে তার সব ধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে” বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এমটিনিউজ/এসএস