ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার সদর ও রানীশংকৈল উপজেলার সীমান্তে কুলিক নদী পারাপার হওয়ার সময় একটি নীলগাই আটক করেছেন স্থানীয় জাহিদ, মকবুল, বুধুসহ কয়েকজন যুবক।
মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার পটুয়া এলাকায় পথচারীরা নীলগাইটিকে ধাওয়া দিলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৌড়ে যদুয়ার কুলিক নদী পার হওয়ার সময় অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী নীলগাইটিকে আটক করে।
এ সময় নীলগাইটির সাথে ধস্তাধস্তিতে বুধু ও মকবুল আহত হন। পরে জাহিদের বাড়িতে যদুয়ার এলাকায় নিয়ে রাখা হয় নীলগাইটিকে। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, রাণীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরোজা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নীলগাইটিকে যদুয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে।’
ঠাকুরাগাঁও জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নীলগাইটি এলাকাবাসী আটক করার সময় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধারকৃত নীলগাইটি চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। নীলগাইটি সুস্থ হলে পরবর্তীকালে সেটিকে কোথায় পাঠানো হবে তা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নীলগাইটি ৩-৪ মাস ধরে সদর উপজেলার রহিমানপুর পটুয়া এলাকায় বসবাস করছিল। স্থানীয়দের ধারণা নীলগাইটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এলাবাসীর ফসল নষ্ট করায় সকলে মিলে অনেক চেষ্টা করেও কোনোভাবে নীলগাইটিকে আটক করতে পারেনি এলাকাবাসী। আটকের পরে এলাকার লোকজন নীলগাইটিকে নাড়াচাড়া করলে পেটে বাচ্চা আছে এমনটা বুঝতে পারে।