ঠাকুরগাঁও থেকে : ঠাকুরগাঁওয়ে কোরবানির পশুর চামড়া পানির দরে বিক্রয় হয়েছে। এতে করে চামড়া বিক্রয়ের অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গরিব মানুষ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় কোরবানিদাতারা ফড়িয়া বা মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিকট তাদের কোরবানির মাঝারি গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রয় হয়েছে।
আর বড় গরুর চামড়া ১৫০-২০০ টাকায় গাভীর চামড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে এর চেয়েও কম দামে বিক্রয় করছেন। একটু ত্রু'টিপূর্ণ চামড়া ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়ও বিক্রয় হয়েছে। এদিকে ছাগলের চামড়ার কোনও প্রকার বেচাকেনা হচ্ছে না বলেও জানা যায়। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি না হওয়ায় তা কুকুরের খাদ্যে পরিণত হয়েছে। অনেকেই আবার চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন।
চামড়ার দাম না থাকায় পশু কোরবানিদাতাদের অনেকেই হতা'শা প্রকা'শ করেছেন। চামড়ার অর্থ না পেয়ে মলিন হয়ে গেছে এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষের মুখ। এ বিষয়ে সদর উপজেলার ফড়িয়ার চামড়া ব্যবসায়ী মাজেদুর রহমান বলেন, চাহিদা না থাকায় বকরি ছাগলের চামড়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি দিয়ে গেছে। তবে লবণ, শ্রমিক ও পরিবহন খরচ উঠবে কিনা এই ভ'য়ে চামড়া মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন তিনি।
কোরবানির পশুর চামড়া কেউ কিনতে চাচ্ছিল না। তবে গরুর চামড়া সা'হস করে ৫০ টাকা থেকে ৩শ-৪শ টাকা দরে কিনেছেন মাজেদ, সুলতাসহ অনেকে। গত বছর যে দাম ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ দাম কমে চামড়া বিক্রি করেছি। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুই একজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এলাকায় মুচি ছাড়া চামড়ার অন্য কোনো ক্রেতা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে ছাগলের চামড়া কেনার লোক নেই। ফ্রি দিয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের আড়তে। ঈদুল আযহার দিন দুপুরে কোরবানির পশুর চামড়া ফড়িয়াররা গ্রামে গ্রামে ঘুরে গরুর চামড়া কিনলেও ছাগলের চামড়া কিনতে অনিহা দেখা গেছে। চামড়া পচে যাওয়ার ভ'য়ে অনেকে স্থানীয় আড়ত গুলোতে বাকিতে দিয়ে যায়। তবুও ব্যবসায়ীরা খুশি না।
আড়ানীর চামড়া আড়তদার ইলিয়াস হোসেন বলেন, চাহিদা না থাকায় চামড়া কম দামে নিতে হচ্ছে। এ চামড়া কিনেও লাভ হবে কিনা জানা নেই। তারপরও কিনেছি। ফড়িয়াদের কাছে দুই-এক টাকা বেশি দিয়ে চামড়া কিনেছি। এছাড়াও সমাজ প্রধানের প্রতিনিধিরা চামড়া নিয়ে আসছেন। তাদেরও কাছে থেকে ফড়িয়াদের মতো দাম দিয়ে কিনেছি।