শনিবার, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৭:১১:৪৮

ঠাকুরগাঁওয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি পরিবার খোলা আকাশের নীচে

ঠাকুরগাঁওয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি পরিবার খোলা আকাশের নীচে

ফরিদুল ইসলাম (রঞ্জু), জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার অর্ন্তগত ২নং আখানগর ইউনিয়নের মধ্য ঝাড়গাঁ এলাকায় শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া এগারোটার দিকে এক মারাত্বক অগ্নিকান্ড ঘটে।এতে কেউ হতাতত না হলেও আগুনের লেলিহান শিখায় পুরোপুরি ভস্মিভূত হয়েছে ৯টি পরিবারের প্রায় ২১টি ঘর ও ঘরের মালামাল।তবে আগুনের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে তা সূনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারেনি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আগুন প্রথমে দবিরুলের ঘর থেকে শুরু হয় এবং মুহুর্তের মধ্যে তা আশে-পাশের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়।অপরদিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী কুয়াশার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বিলম্ব করে।এর আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ দবিরুল পেশায় একজন দিনমজুর।তার হালের বলদের পিছনের অংশ পুড়ে যায় এবং তার পরিবারে পৃথকভাবে থাকা ছেলে,মা ও ভাইদের মোট ৬সদস্যের ৬টি ঘরের কিছুই রক্ষা করতে পারেনি।তাদের ঘরের পাশে খলিলুর রহমান ও দেলোয়ার রহমানের ঘর আংশিক পুড়ে যায়।এতে ঐ পরিবারের আসবাবপত্রসহ আনুমানিক ৪লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। আরেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কর্তা হাজী মোহাম্মদ মোশারফ বলেন,আমি প্যারালাইসেসের রোগী, আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম আগুন কিভাবে আমার পরিবারের সবকিছু কেড়ে নিল। আমাদের ৫টি ঘরের দুটি ফ্রিজ,১টি ডিসকভার১০০সিসি মটরসাইকেল,২টি সোফা সেট,৫টি শোয়ার খাট,জমির দলিলাদি,আলমারি এমনকি পবিত্র কোরআন শরীফসহ ঘরের সমস্ত কিছু পুরে ছাই হয়ে গেছে। আমরা শুধু পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারিনি এবং আমাদের পরিবারের ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতিসাধন হয়েছে। গতকাল রাতে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নারী-শিশুসহ সকলে এখন খোলা আকাশের নীচে বাস করছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে কোন ধরণের সহায়তা প্রদান করা হয়নি।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তাকিয়ে আছে এখন সরকারি সাহায্য সহযোগিতার আশায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ শাহরিয়ার। ৯ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে