এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার সকালে তাদের সাতদিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে এক লাফে দ্বিগুণ বেড়েছে পণ্যটির দাম।
সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, সকাল থেকেই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। দাম বেশি নেওয়ায় দুইজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এক রাতের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দামও ২০০ ছুঁয়েছে। পেঁয়াজের বাজারের এমন অস্থিতিশীলতায় দিশেহারা অবস্থা ক্রেতাদের।
শনিবার জেলার গড়েয়া, ঠাকুরগাঁও রোড, লাহিড়ী খোচাবাড়ি বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সবই ভারতীয় পেঁয়াজ। কোথাও দেশি পেঁয়াজের দেখা মেলেনি। আবার কোথাও পেঁয়াজশূন্য বাজার।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছে না। জেলার সব থেকে বড় গোবিন্দ নগর আড়তে ভোরে যে দাম ছিল তার থেকে দুপুরে মণপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা বেড়ে গেছে। বিকাল নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।
রাতারাতি পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজারে এসে অনেকে পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে এ দামেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কালিবাড়ি বাজারে কথা হয় ক্রেতা আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুইদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১০০ টাকা করে। আজকে এসে দেখি সেটা ডাবল হয়ে গেছে। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেল ১২০ টাকা। এটা কেমন দেশ।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. শিল্পী বলেন, এখন ভারতীয় পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। বাজারে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। যার ফলে এভাবে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।