এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ের পাটিয়া ডাংগি বাজারের ছোট্ট এক দোকান এখন সবার কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দোকানটির নাম ‘রফিকুলের বাসর ঘর’। কারণ দোকানটি সাজানো হয়েছে বাসর ঘরের মতো করে। বিভিন্ন ধরনের খাবারে স্বাদ নিতে এই দোকানে আসছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
রফিকুলের পরিবেশিত খাবারও তেমনি অনন্য ও ব্যতিক্রমী। এখানে রয়েছে মুড়ি ও বুট দিয়ে তৈরি হয় চিকেন, বুন্দিয়া ও বুট দিয়ে তৈরি চাইনিজ খাবার এবং মুড়ি, বুট ও চানাচুর দিয়ে তৈরি নুডুলস। এই খাবারগুলো নতুন স্বাদ এনে দিয়েছে ভোজনপ্রেমীদের কাছে। দোকানের নামকরণও করেছেন এখানে খেতে আসা ভোজনপ্রেমীরাই।
এছাড়া দুপুরের স্পেশাল মেন্যুতে রয়েছে হাঁসের মাংস, মাছ, মুরগি ও সবজি। খাবারের মান এবং দোকানের পরিবেশ দেখে ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের এলাকা থেকে ভোজনপ্রেমীরা ছুটে আসে এখানে।
এখানে খাবারের দামও সাধ্যের মধ্যে। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার খাবার বিক্রি হয় বলে জানান রফিকুল। এক বাসর ঘর দিয়েই রফিকুলের মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, ‘রফিকুলের বাসর ঘর’ শুধুমাত্র একটি খাবারের দোকান নয়, এটি এক অভিজ্ঞতা। এখানে অনেকে আসেন কৌতূহল নিয়ে, আর ফিরে যান তৃপ্তি নিয়ে। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষদের জন্য এটি যেন নতুন স্বাদের এক ঠিকানা।
রফিকুলের বাসর ঘর খেতে আসা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় এই হোটেলটি বাসর ঘর নামে পরিচিত। বাসর ঘরের মতো সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো। তাই সবাই এটাকে বাসর ঘর বলে ডাকে। এখানকার খাওয়া-দাওয়ার মান অনেক উন্নত এবং অন্যান্য হোটেল থেকে এই হোটেলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অনেক বেশি। সেজন্য এখানে সব সময় আমরা আসি।
বাসর ঘর হোটেলের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এই হোটেলের নাম বাসর ঘর আমি দেইনি। আমি ফুলকে অনেক ভালোবাসি। তাই ফুল দিয়ে আমার এই হোটেলটি সাজিয়েছি। আর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। এজন্য এলাকাবাসী আমার হোটেলের নাম দিয়েছে বাসর ঘর। এখন সবাই বাসর ঘর নামে চেনে। অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসে খাওয়ার জন্য। এতে আমার মাসিক আয় ৭০ হাজার টাকার মত। আমার সংসার খুব সুন্দরভাবেই চলতেছে এই বাসর ঘর দিয়ে। বাসর ঘর কথাটা শুনতে একটু অন্যরকম মনে হলেও এলাকাবাসী এটাকে খুব আনন্দ পায়।