ঠাকুরগাঁও : বাসরঘরে জেলার সদর উপজেলার ঢোলার হাট এলাকায় প্রদীপ কুমার বর্মন নামে এক বরের মৃত্যু হয়েছে। এতে নির্বাক হয়ে যায় কনে। বিশহরী দেবীকে সন্তুষ্ট করা গেলে প্রাণ ফিরে পাবে বর এ বিশ্বাসে চলছে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ধরে ঝাঁড়ফুক।
এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় বরের বাড়িতে হাজার মানুষের ভিড় জমেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার আরাজি দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের বিনয় চন্দ্র রায়ের পুত্র প্রদীপ চন্দ্র রায় পাশের ছুট খড়িবাড়ি গ্রামের সনোষ চন্দ্র বর্মনের কন্যা প্রতীমা রানীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার বৌভাত শেষে রাত ৪টার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর ও কনে বাসরঘরে যায়। শুক্রবার সকাল নয়টা অবধি বর ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করে।
একপর্যায়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন দেখতে পায় প্রদীপ মারা গেছে।
তার লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলে পরিবার-পরিজন প্রদীপের মৃত্যুকে না মেনে সেটা বিশহরী দেবীর কাজ ভেবে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে পূজা ও ঝাঁড়ফুক শুরু করে।
পরিবারের লোকজন লাশের হাতে-পায়ে তেল মালিশও করতে থাকে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে লাশ নিয়ে এই টানাহেঁচড়া।
কনে প্রতীমা রাণী স্বামীর প্রাণ ফিরে পেতে লাশের পাশে বসে মা কালির কাছে আকুতি জানান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।
১৫ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম