বিচিত্র জগৎ ডেস্ক : প্রথমে ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ, এরপর থেকে মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকার বেশি। আজকালকার বাজারে এমন চাকরি ‘লোভনীয়ই’ বটে। কিন্তু সেই চাকরিই হাতছাড়া হয়েছে দুই ‘কর্মীর’। টানাটানি পড়ে গেছে তাদের নিয়োগদাতাদের নিয়েও। কারণ, পেশাটার নাম যে ‘মোবাইল চোর’!
সম্প্রতি ভারতের গুজরাটে এমন দুই চোর ধরা পড়েছে, যারা মোবাইল চুরির জন্য মাসে ২৫ হাজার রুপি করে বেতন পেতেন। আর এই কাজে নামার আগে ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল তাদের।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা যায়, অবিনাশ মাহাতো (১৯) এবং শ্যাম কুর্মি (২৬) নামে গ্রেফতার দুই চোর সুরাটের বাসিন্দা। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৫৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে ২৯টি আইফোন এবং নয়টি ওয়ানপ্লাস ফোন। এসব ফোনের মোট বাজারমূল্য ২০ লাখ রুপির বেশি।
তদন্তকারীরা জনিয়েছেন, অবিনাশ ও শ্যাম একসময় ঝাড়খণ্ডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অবিনাশের বড় ভাই পিন্টু মাহাতো এবং রাহুল মাহাতো নামে আরেক ব্যক্তি গুজরাটে মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা চুরি করা ফোনগুলো আনলক করে বাংলাদেশ ও নেপালে পাঠাতেন।
একদিন অবিনাশ ও শ্যামকে ফোন চুরির কাজে সাহায্য করতে বলেন রাহুল এবং পিন্টু। এর জন্য প্রতি মাসে ২৫ হাজার রুপি বেতনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফোন চুরির পেশায় নামার আগে দলটি ৪৫ দিন প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
তাদের পদ্ধতি ছিল সহজ। চোরের দল জনাকীর্ণ জায়গায় পৌঁছে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যায়। একজন ব্যাগ নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। আরেকজন ফোন চুরি করে দ্রুত সেটি দ্বিতীয় চোরের কাছে দিয়ে দেয়। দ্বিতীয়জন ফোনটি নিয়ে ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা লোকের কাছে তুলে দেয় এবং নিজে ফের ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। কেউ ধরা পড়লে বাকিরা পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার দু’জন জানিয়েছেন, তারা আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর, ভাদোদরা, আনন্দ এবং রাজকোটে এই কৌশলে মোবাইল চুরি করেছেন। এর জন্য সুরাট স্টেশনের কাছে তাদের একটি থাকার জায়গা দেওয়া হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে এসব এলাকায় মোট ১৯টি মোবাইল চুরির অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।