রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬, ০৭:৪৩:১৫

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের উল্টো চালে বিপাকে পাকিস্তান

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের উল্টো চালে বিপাকে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের ‘দাদাগিরি’ তারা যে কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না, বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানের বাসিন্দারা। পাকিস্তান সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ তলে তলে অনেক দিন ধরেই তৈরি হচ্ছিল সেখানে। এ বার তার বিস্ফোরণ হল।

হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হলেন। পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান দেন। পাকিস্তানের চোখরাঙানি তারা যে সহ্য করবেন না সেই বার্তাই শনিবার তীব্র প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেন। মুক্তির ডাক দিলেন সেখানকার মানুষ। তাদের থামাতে শনিবারেও পাকিস্তান সেনারা নিজেদের শক্তি প্রদর্শন থেকে পিছপা হয়নি। প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলেছে দু’পক্ষের মধ্যে।

বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উপত্যকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল পাকিস্তান। কাশ্মীর যখন এমন একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সে সময় পাকিস্তানের এমন উস্কানিমূলক আচরণে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ হয়েছিল দিল্লি। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, পাকিস্তান আগে নিজের ঘর সামলাক। ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

বিশ্বের দরবারে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের এই ‘অত্যাচার’-এর কাহিনি তুলে ধরতে গিয়ে এ বার নিজেরাই হোঁচল খেল পাকিস্তান। নিজেদের অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট ও বালতিস্তানে যে ভাবে পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান উঠেছে তাতে স্পষ্ট হয়েছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা। বিভিন্ন মহলের অভিমত, বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর যে ভাবে নাক গলাতে এসেছিল পাকিস্তান, এ বার সেটাই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে গিয়েছে। ঘরের বিদ্রোহ দমন করতে পাকিস্তান সেনাকে পুরোদমে ব্যবহার করছে পাকিস্তান সরকার। অথচ এই পাকিস্তানই ভারতের নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর।

এ বার সুযোগ এসেছে ভারতের। বিশ্বের দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে যে ভাবে উঠেপড়ে লেগেছিল পাকিস্তান এ বার সেই অস্ত্রকেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে যে ভাবে ইসলামাবাদ অত্যাচার চালাচ্ছে তা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরা হবে। পরে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও বালুচিস্তানের মানুষ, যারা অন্য দেশে থাকেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তারাই গোটা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের নির্যাতনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।’ - আনন্দবাজার
১৪ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস‌‌‌‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে