বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬, ০৬:২০:৩৫

প্রলয় ঝড়ে লন্ডভন্ড কলকাতা, মৃত ৩

প্রলয় ঝড়ে লন্ডভন্ড কলকাতা, মৃত ৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তার গতি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। স্থায়িত্ব মাত্র সাত মিনিট। পরিণাম— তিনটি মৃত্যু, অন্তত ৬২টি গাছ পড়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ, বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল, লন্ডভন্ড গোটা শহর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পরে এক নজরে এটাই ছিল কলকাতা।

এ দিন সন্ধ্যায় ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে নামা প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় আহত হন মোট পনেরো জন। তাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। থইথই জলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম। অফিসফেরতা মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয় ওভারহেড তার ছিঁড়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়া। মেন লাইনেও ট্রেন চলেছে ধীরে। স্টেশনে থিক থিক করেছে কালো মাথা। গভীর রাতেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে অপেক্ষমাণ মানুষ। বাস নেই, ট্যাক্সি নেই। ওলা-উবের, অটো বিশাল টাকা হেঁকেছে।

ঝড়-বৃষ্টিতে সব চেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে যাদবপুরে। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি গাছ ভেঙে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালের উপরে। গাছের চাপে দেওয়াল ভেঙে পড়ে ফুটপাথে বসে থাকা জনা সাতেকের উপরে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণী-সহ দুই পথচারীর। বছর পঁয়ত্রিশের মৃত যুবককে রাত পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। মৃত তরুণীর নাম মধুমিতা হেমব্রম (১৮)। বাড়ি মেটিয়াবুরুজে।

গুরুতর আহত অবস্থায় বাকিদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে যাদবপুর এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে। তাদের এক জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। পুলিশ জানায়, ওই যুবকেরা ফুটপাথে বসে ফ্রি ওয়াই-ফাই পরিষেবা ব্যবহার করছিলেন। তাদের কেউই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রাতে ওই হাসপাতালে যান কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ রতন দে, দেবাশিস কুমার প্রমুখ। হাসপাতালে শুয়ে আহতদের এক জন (বাড়ি আলিপুরদুয়ার) ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘আমরা কয়েক জন ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ওয়াইফাই ব্যবহার করছিলাম। হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দেওয়াল। আমরা কয়েক জন তার নীচে চাপা পড়লাম। আমাদের উপরে ইট, তার উপরে গাছ। কী ভাবে যে বেঁচে গেলাম, জানি না।’

বেলেঘাটায় প্রাণ হারান ৬৫ বছরের অমর মুখোপাধ্যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এ দিন ঝড় ওঠার সময়ে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন অমরবাবু। সেই সময়ে একটি গাছ তার উপরে ভেঙে পড়ে। হাসপাতালে ওই প্রৌঢ়কে মৃত ঘোষণা করা হয় অমরবাবুকে।
১৮ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস‌‌‌‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে