আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্যাঙ্কক বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনাকারীর নাগাল পেতে বাংলাদেশের সাহায্য চাইল থাই পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, 'নাটের গুরু' হিসেবে এখনও পর্যন্ত যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, বিস্ফোরণের একদিন আগেই চাইনিজ পাসপোর্ট নিয়ে ব্যাঙ্কক থেকে সে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
ডেপুটি পুলিশ প্রধান চাকথিপ চাইজিন্দা বুধবার জানান, ওই ব্যক্তির নাম আইজান। তবে, নাম আদৌ আসল কি না, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন পুলিশের তদন্তকারীরা। কিন্তু, নাম যা-ই হোক, ১৭ অগস্টের ব্যাঙ্কক বিস্ফোরণের নেপথ্যে ওই ব্যক্তির বড় ভূমিকা রয়েছে বলেই ধারণা পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ বিদেশিকে জেরা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, গ্রেফতার কৃত ওই বিদেশি স্বীকার করেন, বিস্ফোরক ভরা ব্যাকপ্যাক তিনি 'বোম্বার'-এর হাতে দিয়েছিলেন। ব্রহ্মা মন্দিরের সামনে থাকা সিসিটিভি-র ফুটেজ খতিয়ে দেখে হলুদ টি-শার্ট পরা ওই 'বোমারু'কে আগেই চিহ্নিত করে থাই পুলিশ। যদিও, তাকে এখনও ধরা যায়নি।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে থাই পুলিশ দাবি করছে, ১৭ অগস্টের বিস্ফোরণে মূল ভূমিকাটা ছিল আইজান নামে এক ব্যক্তির। সেই অন্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়। তাই, এখনও আইজানকে হাতে পেতে মরিয়া পুলিশ। ডেপুটি পুলিশ প্রধান বলেন, আইজান কোন দেশের নাগরিক, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু, সে যে দেশেরই হোক, থাই পুলিশের খাতায় এখন মোস্ট ওয়ান্টেড। পুলিশের কাছে খবর অনুযায়ী, চাইনিজ পাসপোর্ট নিয়ে ১৬ অগস্ট সে বাংলাদেশে পাড়ি দেয়। সেই আইজানের খোঁজেই বাংলাদেশ পুলিশের সাহায্য চেয়েছে থাই পুলিশ।
গত ১৭ অগস্ট ব্রহ্মা মন্দিরের সামনে ওই বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ২০জন। এর মধ্যে ১৪জনই বিদেশি। এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন ওই বিস্ফোরণের দায় নেয়নি। সুত্র: এই সময়।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/