আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার চাঁদে র্যাডার ঘাঁটি গড়ার পরিকল্পনা করলো চীন। শুধু তাই নয়, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ২৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। চীনের ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এই অর্থের যোগান দিয়েছে। স্থায়ী এই র্যাডার ঘাঁটি পরিচালনায় চাঁদে স্থায়ীভাবে নভোচারী বা জনশক্তি রাখার প্রয়োজন পড়বে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলেছে, চাঁদের র্যাডারের উচ্চতা হবে ৫০ মিটার। প্রতিরক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা উভয় কাজেই এটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। বিশাল আকারের এই র্যাডার দিয়ে পৃথিবীর অত্যন্ত স্পষ্ট ছবি তোলা সম্ভব হবে। এছাড়া, পৃথিবীর অনেক বিশাল অঞ্চল জুড়ে এই র্যাডারের তৎপরতা চালানো সম্ভব হবে। র্যাডার ঘাঁটির রাক্ষুসে বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সৌর বা পরমাণু কেন্দ্র গড়ে তোলার কথাও বিবেচনা করছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এই পরিকল্পনা বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনাও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
চায়নিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সর অধ্যাপক জাও ইগুও মনে করেন, র্যাডারকে প্রচণ্ড শক্তিশালী হতে হবে আর না হয় র্যাডারের অ্যান্টেনাকে বিশাল হতে হবে। তা না হলে পৃথিবীতে বাড়ি খেয়ে সব বেতার তরঙ্গ ফিরে আসবে তা ধারণ করা যাবে না। অবশ্য ব্যাপক ঝামেলা অতিক্রম করে এই ঘাঁটি স্থাপন সম্ভব হলে তার নানা সুফল পাওয়া যাবে। চাঁদের র্যাডার ঘাঁটি থেকে বিস্তারিত ভাবে পৃথিবীর আবহওয়া সংক্রান্ত নজরদারি সম্ভব হবে। ভূমিকম্প বা মেরু বরফ গলার ওপর ভালভাবে নজর রাখা সম্ভব হবে।
অবশ্য চাঁদের র্যাডার ঘাঁটিতে তৎপর নভোচারীদের একদিকে ঘাঁটি এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র সামাল দিতে হবে। অন্যদিকে র্যাডার কেন্দ্র প্রতি সেকেন্ডে ১.৪ গিগাবাইট তথ্য সংগ্রহ করবে তাও প্রসেসিং করতে হবে। বর্তমানে দীর্ঘপাল্লার মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে ব্যান্ডইউথ ব্যবহার হয়ে তার চেয়েও অনেক বেশি ব্যবহার হবে এ ক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে পুরো প্রকল্পটি প্রায় অকল্পনীয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
২৫ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/শান্ত/মো:শাই