আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আট ঘণ্টা তো দূর অস্ত, কর্তৃপক্ষকে তুষ্ট করতে কোনও কোনও সময় দিনে ১০-১২ ঘণ্টাও গাধার খাটুনি খাটতে হয়। তা-ও যে খুশি করতে পারবেন, সে গ্যারান্টি নেই। শেষমেশ যার জের গিয়ে পড়ে ব্যক্তিগত জীবনে। মানসিক অস্থিরতায় না-বসে কাজে মন, না-হয় সুখের সংসার।
বাস্তবিক এই সমস্যার কথা চিন্তা করেই পরিবার-বান্ধব পলিসি নিয়েছে সুইডেন। অর্থাত্ , একধাক্কায় ওয়ার্কিং-ডে কমিয়ে আনা হয়েছে ছ-ঘণ্টায়। যাতে কর্মীরা আরও বেশি সময় পরিবারে দিতে পারেন। আনন্দে কাটাতে পারেন। তাতে করে, ওই কর্মীরা আরও বেশি মনযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, কাজের গুণমানও ভালো হবে।
স্টকহোমের অ্যাপ ডেভেলপার ফিলিমুন্ডাসের সিইও লিনুস ফেল্ডই প্রথম তাঁর কর্মীদের জন্য কাজের সময় গতবছর ছ-ঘণ্টায় কমিয়ে আনেন। তার পর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকতে হয়নি।
লিনুসের কথায়, আমরা সবাই চাই পরিবারের সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটাতে। আমরা আবার নতুন কিছু শিখতেও চাই। আমি এই দুটো জিনিসকেই মেশাতে চেয়েছিলাম। যাতে ঘরও রক্ষা হয়, আবার সেইসঙ্গে কর্মক্ষেত্রও।
এই ভারসাম্য আনতে গিয়ে প্রথমেই কাজের সময় কমিয়ে ছ'ঘণ্টা করেন। তাতে তিনি লক্ষ করেন, বেশি বিশ্রাম পাওয়ায় কর্মীরা অনেক বেশি চনমনে, হাসিখুশি থাকে। যার জন্য কাজটা ভালো হয়।
এই থিওরিই এখন অনুসরণ করছে সুইডেন।
মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর পিটার গাহানের বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়া পুরোপুরি উলটো রাস্তায় হাঁটছে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ারও সুইডেনকে অনুসরণ করা উচিত। কারণ, অস্ট্রেলিয়ায় কাজের সময় অনেক দীর্ঘ।
তাঁর কথায়, ঠিকঠাক পরিকল্পনা করে এগোলো, কম ওয়ার্কিং আওয়ারেও একই পরিমাণ কাজ তুলে দেওয়া সম্ভব। তেমন আধুনিক প্রযুক্তিও রয়েছে। তাই আট ঘণ্টার থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করতে হবে। সূত্র: এই সময়
০২ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস