আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বয়স তার ১৫। নাম সতিশ। দশম শ্রেণীতে পড়তো। এক কৃষকের সন্তান। স্কু ফি ঠিকভাবে দিতে না পারায় প্রিন্সিপালের চড়। সেইসঙ্গে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা। এই অপমান সহ্য করতে না পারেনি সতিশ। বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গনা রাজ্যের করিমনগর জেলায়। স্থানীয় পেদ্দাপল্লী বেসরকারি স্কুলে পড়তো সতিশ। বুধবার তাকে অপমান করেন প্রিন্সিপাল। সহ্য করতে না পেরে দুপুরের বিরতির সময় বাড়িতে এসে মোবাইল ফোনে সব ঘটনার কথা ভিডিও করে সে।
একটি চিরকুট লিখে ঘরের টিভি সেটের কাছে রেখে যায় সতিশ, তাতে পিতা-মাতাকে উদ্দেশ করে লেখা ছিল, তাকে যেন খোঁজাখুঁজি না করা হয়। দেখতে বলা হয় মোবাইলের ওই ভিডিওটি।
ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি মালগাড়ী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার চিরকুট ও ভিডিও উদ্ধার করে তার লাশ শনাক্ত করে পরিবার।
ভিডিওতে সতিশ বন্ধু-বান্ধবকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি বলেছিল, স্কুল ফি হিসেবে এরই মধ্যে পাঁচ হাজার রুপি দিয়েছে। এর বেশি তার পরিবারের পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিল না।
২ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম