রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:৩২:৩১

আগাম নির্বাচন নিয়ে যা বললেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা

আগাম নির্বাচন নিয়ে যা বললেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপী ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেলে ব্রিটেনকে কঠিন সময় পার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

সেজন্য জনগণকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বললেন, ব্রিটিশ অর্থনীতি দুর্ভোগে পড়বে। কঠিন সময় আসতে পারে।

সেই কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

ব্রেক্সিট পরবর্তী ক্ষমতার পালাবদলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।  তারপর প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অ্যানড্রু মার শোতে।

থেরেসা মে বলেছেন, ব্রিটেনের জন্য ব্রেক্সিট ছেড়ে যাওয়া খুব মসৃণ হবে না।  ব্রেক্সিট নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ২০১৭ সালের আগে শুরু হবে না। তবে এ প্রক্রিয়াকে এমনভাবে উপস্থাপনা করা হবে না যাতে তা হারিয়ে যায়।

এ সময় তিনি আগাম নির্বাচনের কথাও উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, এখন ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি দরকার স্থিতিশীলতা।  জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে তিনি ওই সাক্ষাৎকার দেন।

ব্রিটেন অর্থনৈতিক কঠিন সময়ে পড়বে এমন আভাস দিলেও অনেকে যতটা আভাস দিয়েছিলেন ততটা সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।

থেরেসা মে আশাবাদী যে, ইইউ'র বাইরে ব্রিটেন অবশ্যই সফল হবে। ব্রিটেন স্বাধীনভাবে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করবে।

জুনে ব্রেক্সিট গণভোটের ফলে ২৮ জাতির সংগঠন ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থ বাজারে একটি হতাশাজনক বার্তা দেয়।  তাহলো ব্রিটেন ব্রেক্সিট নিয়ে বাণিজ্যিক সবচেয়ে বড় অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আরেকটা মন্দা দেখা দিতে পারে।

এতে বিশ্ব অর্থবাজারে নতুন ভূমিকা সৃষ্টি হবে। ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের অর্থনীতি যেমন যাবে বলে ভাবা হয়েছিল এখন পর্যন্ত ততটা খারাপ নয়, বরং তার চেয়ে অগ্রগতি।  

তা সত্ত্বেও থেরেসা মে মনে করেন, ব্রেক্সিট তার দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করবে। এ বছরের শেষের দিকে তিনি অর্থনীতিক পরিকল্পনা কি হবে তা নিয়ে আগামী কয়েক মাসে ডাটা সংগ্রহ করবেন।  নজরদারি করবেন।  এরপর নেবেন সিদ্ধান্ত।

আর্টিকেল ফিফটি নিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপীয় নাগরিকদের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।  জনগণ কাজের সুযোগ চায়, অর্থনৈতিক সুযোগ চায়।  সেই সুযোগগুলো নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

অন্যদিকে ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় গণভোটের জন্য এখনো বিক্ষোভ র‍্যালিসহ সভা সমাবেশ চলছে যুক্তরাজ্যে।  যদিও দেশটির প্রধানমন্ত্রী খুব স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট ফিরে আসার আর কোনো পথ নেই।
৪ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে