বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৪:১২:০৪

টিকি‌ট চেকারকে ঘুষ নিতে দেখে রেলমন্ত্রীকে টুইট, অতঃপর চলন্ত ট্রেনেই..

টিকি‌ট চেকারকে ঘুষ নিতে দেখে রেলমন্ত্রীকে টুইট, অতঃপর চলন্ত ট্রেনেই..

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দিন কয়েক আগের ঘটনা। গোবিন্দ নারায়ণ নামের এক যাত্রী ভারতের বারমের-কালকা এক্সপ্রেসের এস-৬ নম্বর কামরায় চড়ে যাচ্ছিলেন রাজস্থানের বিকানেরে। হঠাৎই তার চোখে পড়ে ট্রেনের টিকিট চেকার অর্থাৎ টিটিই সমস্ত যাত্রীর কাছ থেকে ১৫ টাকা করে নিচ্ছেন সিটে বসতে দেওয়ার বিনিময়ে।

গোবিন্দের কাছ থেকেও টাকা নেন তিনি। গোবিন্দ টাকা দিতে আপত্তি না করলেও টাকার একটি রশিদ দাবি করেন। টিটিই আশ্বাস দেন, বিকানের আসার আগেই তিনি রশিদ দিয়ে দেবেন। অন্য যাত্রীরা সেই রশিদও দাবি করেননি। ফলে টিকিট চেকার টাকা নিয়ে সেই যে গেলেন, আর তার টিকিটিরও দেখা মিললো না সেই কামরায়।

গোবিন্দের বিষয়টি ভাল লাগেনি। কী মনে হওয়ায়, তিনি ভারতের রেল মন্ত্রনালয়, রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর জোধপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম)এর টুইটার হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানান। মিনিট কয়েকের মধ্যেই রেলমন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয় যে, গোবিন্দের অভিযোগ ডিআরএম-এর অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই গোবিন্দ ডিআরএম-এর ফোন পান। তার কাছ থেকে পুরো বিষয়টি জেনে নেন ডিআরএম। তারপর ট্রেন যোধপুর স্টেশনে পৌঁছালে দলবল নিয়ে ট্রেনে ওঠেন ভিজিলেন্স অফিসার মুকেশ গেহলোত।

মুকেশ ও তার সঙ্গীরা ওই টিটিইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তার রেকর্ড বুক খতিয়ে দেখেন, এবং তারপর টুইটার মারফৎ তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দেন ডিআরএম-এর কাছে। ডিআরএম সঙ্গে সঙ্গে টুইটারেই ওই টিটিইকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। চলন্ত ট্রেনে দুর্নীতির অভিযোগে এইভাবে টিটিই-কে সাসপেন্ড করার ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

সোশ্যাল মিডিয়া যে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কতখানি কার্যকর হয়ে উঠছে এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। মানুষকে দ্রুত ন্যায়বিচার দিতে সোশ্যাল মিডিয়া আরও তৎপর হোক, এটাই প্রার্থনা করছেন সাধারণ মানুষ।

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে