আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মিরে সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষিপ্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে হামলা চালাতে চায় বলে জানিয়েছে ভারতীয় মিডিয়া।
ভারতের আনন্দবাজার গ্রুপেরসহ কয়েকটি মিডিয়ায় বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কার্যকলাপ আরো বাড়াতে চলেছে তারা।
সেনাবাহিনীর একটা বড় অংশের দাবি, সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান ভূখণ্ডে সীমিত সময়ের জন্য হামলা ঘটানো হোক, যাতে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেয়া যায়। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তা, এর ফলে পাকিস্তান সেনার ক্ষতি হবে ঠিকই কিন্তু পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে দু’দেশের মধ্যে।
তবে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনাবাহিনী ও পশ্চিমের ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে পুরোপুরি অ্যালার্ট থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খবরে বলা হয়, যদিও পাকিস্তান ভূখণ্ডে গিয়ে হামলার কথা এ মুহূর্তে সরকার ভাবছে না বলে খবর। নিয়ন্ত্রণরেখা না টপকে কীভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘সবক’ শেখানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
এর আগে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তান সেনা ঘাঁটি আর বাঙ্কার লক্ষ্য করে ভারী গোলাগুলি চালানো হয়েছে। এবারেও সেভাবেই জবাব দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে ভাবছে ভারত।
সীমান্ত পেরিয়ে হামলার ব্যাপারে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সে জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জরুরি।
কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, পুরোপুরি যুদ্ধই হোক বা পাকিস্তানের পরমাণু ক্ষেত্রে হামলা- ভারতকে সবরকম সম্ভাবনার কথা ভেবে দেখতে হবে। ইনফ্যান্ট্রি ইউনিট বা স্পেশাল ফোর্স দিয়ে সীমান্ত টপকে নিখুঁত অপারেশন করা যেতে পারে, যাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, গুঁড়িয়ে দেয়া যায় ঘাঁটিগুলো। অথবা ব্যবহার করা যেতে পারে ৯০ কিলোমিটার পাল্লার রকেট বা ২৯০ কিলোমিটারের ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্র।
খবরে বলা হয়, মিরাজ ২০০০, জাগুয়ার আর সুখোই যুদ্ধবিমান দিয়েও বম্বিং করা যেতে পারে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, পাকিস্তানের গোটা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমই ভারতের দিকে মুখ ঘোরানো। ফলে হামলা চালাতে গেলে ভারতীয় বিমানবাহিনীরও কিছু ক্ষতির আশঙ্কা।
১৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম