 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিজ়বুল নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে চাপে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল পাকিস্তান। এনিয়ে অন্য দেশগুলির সমর্থন পাওয়ার চেষ্টাও করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এই অভিযোগে জাতিসংঘের মহাসচিবের হাতে নথিও তুলে দেন তিনি। কিন্তু, এরই মাঝে কাশ্মিরে উরিতে জঙ্গি হামলা তাদের অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। অ্যামেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়ার, ব্রিটেনের মতো দেশগুলি এর নিন্দা করেছে। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে মার্কিন কংগ্রেসে বিলও এনেছেন দুই সদস্য। বাকি ছিল একটি দেশই।
সেই চীনের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের সঙ্গে বৈঠক করলেও কাশ্মীর নিয়ে একটি শব্দও এখনো পর্যন্ত করেনি। আর কাশ্মীর ইস্যুতে তারা তাদের পাশে রয়েছে বলে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা থেকেও আজ দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করল চীন সরকার।
জাতিসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনের মাঝেই চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফ। কিন্তু, সেই বৈঠকে কাশ্মীর ও উরি হামলার পর তৈরি হওয়া উত্তেজনা নিয়ে নাকি কোনও কথাই বলেননি কেকিয়াং।
তাকে উদ্ধৃত করে সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, চীন ও পাকিস্তান একে অপরকে সবসময় সমর্থন করে এসেছে এবং তাদের বন্ধুত্ব কোনওদিন ভাঙবে না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে তারা সবরকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি বলেও নাকি নওয়াজ় শরিফকে জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী। কথা হয়েছে চায়না-পাকিস্তান ইকনমি করিডর নিয়েও।
কিন্তু, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলিতে এর পুরোপুরি ভিন্ন খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে বিভিন্ন মঞ্চে সমর্থন করে যাবে চীন। এর পাশাপাশি, পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার বলেও নাকি শরিফকে বলেছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এনিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মুখপাত্র লু কাং বলেন, “কাশ্মীর ইস্যু অনেকদিন ধরেই জিইয়ে রয়েছে। এই ইস্যুতে আমাদের অবস্থান একই। আমরা মনে করি আলোচনার মাধ্যমেই এর বিহিত করুক দু’পক্ষ।”
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি 
 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                