 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের সামরিক বিমান জাপানের একটি দ্বীপের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার পর টোকিও জানিয়েছে, বেইজিংয়ের সামরিক পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। মহড়ার নামে চীনের শক্তির প্রদর্শনের ঘোষণার পরই জাপান নিজেদের যুদ্ধবিমান আকাশে উড়িয়ে চীনকে সতর্ক করেছে।
রবিবার জাপান জানায়, বোম্বার বিমান, নজরদারি বিমান দেশটির মিয়াকো স্ট্রেইটস, ওকিনাওয়া ও মিয়াকোজিমার আকাশে ওড়ে।
চীনের আটটি সামরিক বিমান জাপানের একটি দ্বীপের পাশ দিয়ে ওড়ে যায়। চীন দাবি করেছে, রুটিনমাফিক দেশটির ৪০ বিমান মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। চীনের বিমানগুলো জাপানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। তবে চীনের এই পদক্ষেপকে শক্তি প্রদর্শণের অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র ইয়োশিহিদি সুগা জানান, চীনের সামরিক পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও আত্মরক্ষার আইন মোতাবেক জাপান নিজেদের আকাশসীমা রক্ষায় নজরদারি ও সামরিক পদক্ষেপ নেবে।
মিয়াকো স্ট্রেইটস সামরিক কৌশলগত কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ ওকিনাওয়া উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত এ দ্বীপ। যা তাইওয়ানের কাছাকাছি অবস্থিত। পূর্ব চীন সাগরে একগুচ্ছ বিতর্কিত দ্বীপের কাছেই মিয়াকো স্ট্রেইটস। এসব দীপমালার মালিকানা দাবি করে আসছে চীন ও জাপান উভয় দেশে।
জাপান দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণ করছে। জাপানিরা দ্বীপটিকে সেনকাকু হিসেবে উল্লেখ করে আর চীন দিয়াউ দ্বীপ বলে থাকে। সূত্র: বিবিসি।
২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর