আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসঙ্ঘের পরবর্তী মহাসচিব হওয়ার জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন ৯ জন। এই ৯ জনের মধ্যে তিনজন নির্বাচনের দৌড়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তারা হলেন পর্তুগালের আন্তোনিও গুতিয়েরেস, নিউজিল্যান্ডের হেলেন ক্লার্ক ও বুলগেরিয়ার ইরিনা বোকোভা। গুতিয়েরেস ও ক্লার্ক দুজনেই তাদের দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘ ওই নয় প্রার্থীর সাক্ষাৎকার পর্ব শুরুর আগে অনেকে বোকোভাকে এক নম্বর প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু দু’ঘণ্টা স্থায়ী সাক্ষাৎকারে বোকোভা সবাইকে খুশি করতে পারেননি।
অন্যদিকে জাতসঙ্ঘের প্রাক্তন উদ্বাস্তু হাইকমিশনার গুতিয়েরেস অত্যন্ত খোলামেলা ভাষায় জাতিসঙ্ঘের আমলাতান্ত্রিক সংকটের ছবিটি তুলে ধরে সুনির্দিষ্ট সংস্কারের প্রস্তাব রাখেন। বর্তমানে ইউএনডিপির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত হেলেন ক্লার্ক বিশ্বসংস্থাটির উন্নয়ন-বিষয়ক অগ্রাধিকার নিয়ে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা যেভাবে উপস্থাপন করেন তাতে অনেকেই উল্লসিত।
বোকোভার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রাশিয়া। কিন্তু তার দুর্বল সাক্ষাৎকারের পর মস্কো বলেছে, সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীর মনোনয়ন নিশ্চিত করতেই তারা আগ্রহী। সংস্থার আনুষ্ঠানিক নিয়ম অনুসারে পরবর্তী মহাসচিব পূর্ব ইউরোপ থেকে আসার কথা।
জাতিসঙ্ঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত চুরকিন সাংবাদিকদের বলেছেন, এই আঞ্চলিক আবর্তনব্যবস্থা ধরে রাখার ব্যাপারে তিনি অনড় নন। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, রাশিয়ার এই পরিবর্তিত মনোভাবের ফলে সবচেয়ে লাভবান হবেন পর্তুগালের গুতিয়েরেস ও নিউজিল্যান্ডের ক্লার্ক।
জানা গেছে, যে ন’জন প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, এর বাইরে আরও চার-পাঁচজন তাদের সরকারের মাধ্যমে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করবেন। তারা হলেন আর্জেন্টিনার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুসানামালকোরা, কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া আঙ্গেলাহলগুইন, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড ও স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিরোস্লাভলাজাক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন তার মেয়াদ শেষে নতুন মহাসচিবকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম