আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে পাকিস্তানি সেনা এবং বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই যৌথ মহড়া শুরু করেছে সীমান্তের কাছে। উরি হামলার পর থেকেই দু’দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছিল অশান্ত পরিস্থিতি। গতকাল সিন্ধু চুক্তি বাতিল নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে ওঠে।
পাকিস্তানের তরফ থেকে জানানো হয়, সিন্ধু চুক্তি বাতিলের অর্থ যুদ্ধকে আহ্বান জানানো। এসবের মধ্যেই এক সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে পাকিস্তানি সেনা এবং বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই যৌথ মহড়া শুরু করেছে। রাজস্থানের জয়সলমীর বর্ডারের কাছে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ভারত-পাকিস্তান বর্ডারে ঘন ঘন বিমান ও গাড়ির আসা-যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রায় ১৫০০০ সেনা এবং ৩০০ বায়ুসেনা এই ক’দিনের মহড়ায় অংশ নিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। সীমান্তে আরও সতর্কভাবে পাহারা দিচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। আর্টিলারি বাহিনী এবং সশস্ত্র সেনারাও একইসঙ্গে চালাচ্ছে প্রস্তুতি। আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরিক্ষাও চলছে সীমান্তে।
এ কথা বলাই যায় যে, যুদ্ধের প্রস্তুতি একপ্রকার নিয়েই ফেলেছে পাকিস্তান। দু’দেশের পরিস্থিতি যদি একইরকম চলতে থাকে, তবে সেই প্রস্তুতি যে বৃথা যাবেও না, তা বলা বাহুল্য। এদিকে ভারত সরাসরি কিছু না করলেও সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের মধ্যে দিয়ে আঘাত হানার জল্পনায় রয়েছে। তবে কি আবার রক্তাক্ত হতে চলেছে দু’দেশের মাটি ? উত্তরটা দেবে সময়ই। এবেলা
২৮ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/ইসলাম/নাঈম/