বুধবার, ০৫ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:৫৭:৪৫

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভিডিও এখন মোদির হাতে, দেখানো হল মনমোহন-সানিয়াকেও

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভিডিও এখন মোদির হাতে, দেখানো হল মনমোহন-সানিয়াকেও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাক শাসিত কাশ্মীরে গিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। এরপরই ভারত সরকারের তরফে ২৪টি দেশকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বিষয়টি সরকারিভাবে জানানো হয়। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ দেশটির অন্য রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতাদেরকেও সেই তথ্য দেয়া হয়। যদিও পাকিস্তান সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা লাগাতার অস্বীকার করতে থাকায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশে। প্রথমদিকে এই অপারেশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকলেও পরের দিকে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (আপ)-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এই ঘটনার সত্যতা তুলে ধরার জন্য দাবি জানানো হয়।

এইরকম এক রাজনৈতিক কচকচানির মধ্যেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের একাধিক ভিডিও এবং গ্রাফিক্স কেন্দ্রের হাতে তুলে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনাও চাইছে পাকিস্তানসহ বিরোধীদের জবাব দিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভিডিও জনসমক্ষে আনা হোক। পাক শাসিত কাশ্মীরে ঢুকে কিভাবে ভারতীয় সেনা গোটা অপারেশন চালিয়েছিল তা দেখানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে সেনার কর্মকর্তারা।

সূত্রের খবর, দেড় ঘণ্টার এই ভিডিও-তে পাক শাসিত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের ছবি রয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, সেনা অভিযানের প্রচার প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। স্থলসেনার পাশাপাশি আলাদা করে আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকলস (ইউএভি)-এর মাধ্যমেও সেনা অভিযানের সেই ছবি তুলে রাখা হয়েছে।

সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোন সন্দেহ নেই যে সেনা অভিযানে বিপক্ষের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কাছে যেসব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তাতে পরিষ্কার যে সেনার প্রশিক্ষিত জওয়ানরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল।

যদিও এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বৈঠকও করা হয়েছে বলে খবর। গোটা অপারেশনের ভিডিও দেখানো হবে কি না তাও নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। কারণ এই ভিডিও প্রকাশ করার পরে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার কি প্রভাব পড়বে সেব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটবে সরকার।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের কাশ্মীরের উরিতে সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ১৯ সেনা জওয়ানের। এই হামলার দশদিন পর এলওসি পেরিয়ে পাক শাসিত কাশ্মীরে গিয়ে ৭টি পাক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। হামলায় ২ পাকিস্তান সেনা নিহত হয়, মৃত্যু হয় প্রায় অর্ধশতাধিক জঙ্গির।
০৫ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে