বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:৫৪:৩০

‘জঙ্গি’ আতঙ্কে সীমান্তে ঘুম হারাম ভারতীয় সেনাদের

‘জঙ্গি’ আতঙ্কে সীমান্তে ঘুম হারাম ভারতীয় সেনাদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাইন গাছের উঁচু ডালে ঝোলানো প্লাই বোর্ড৷ লেখা ‘দুশমন শিকার, হাম শিকারি’। সজাগ দৃষ্টিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর স্নাইপাররা। যে কোনও সময় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে শত্রু। গোলা উড়ে আসতে পারে ওপার থেকে৷ তার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় জওয়ান। সার্জিক্যাল অপারেশনের পর মনোবল তুঙ্গে। তবু খারাপ আবহাওয়া আর জনমানবহীন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে থাকার একঘেয়েমি কাটাতে ‘দুশমন শিকার, হাম শিকারি’ মন্ত্র জপেই নিজেদের উজ্জীবিত করছেন তাঁরা।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় জওয়ানরা জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পর নিয়ন্ত্রণরেখায় ২৬ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা, বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) ও জঙ্গিরা।

স্নাইপার রাম সিং-এর (নাম অপরিবর্তিত) কথায়, ‘লক্ষ্মণরেখার (এলওসি) ওপারে আমার শত্রু বসে রয়েছে৷ আমি ওর শিকারি৷ যারা লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে এদিকে আসার চেষ্টা করবে তাদের আমরা খতম করব।’

বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নাইপারদের মতো দুশমনদের খতম করার অপেক্ষায় জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার নওশেরা সেক্টরে টহল দিচ্ছেন জওয়ানরাও৷ বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নজরদারির পাশাপাশি নিশ্ছিদ্র প্রহরীর মতো ভারত-পাক সীমানায় জেগে রয়েছেন তাঁরা।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ঠিক বিপরীতে নওশেরা সেক্টর৷ এক সময় এই এলাকা দিয়েই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ করত জঙ্গিরা৷ পাইনের ঘন জঙ্গল, গভীর উপত্যকা, খাড়াই পর্বতে ঘেরা নওশেরা সেক্টর৷ সার্জিক্যাল অপারেশনে ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর এই পথেই হামলা চালানোর টার্গেট নিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

এক কোম্পানি কমান্ডারের কথায়, ‘আমরা নিয়ন্ত্রণরেখা ও আশপাশের সেনা ছাউনিতে ঈগলের মতো নজরদারি চালাচ্ছি৷ পাক সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করি না৷ সীমানার কাছে বিড়াল ঘোরাঘুরি করলেও বৈদ্যুতিন যন্ত্রের সাহায্যে এখন আমরা ধরে ফেলতে পারি।’
১৩ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে