আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কক্ষপথ এখন আর শুধু আমেরিকা ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কুক্ষিগত নেই৷ অন্যান্য দেশও সেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে৷ তার থেকেও চিন্তার, বহু বাণিজ্য সংস্থাও এখন কক্ষপথে বিচরণ করছে৷ আর শুধু যে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারই তাদের লক্ষ্য, তা কিন্তু নয়৷ কক্ষপথকে যুদ্ধের অন্যতম ফ্রন্ট হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে তারা৷ মারণ উপগ্রহ, বিধ্বংসী লেজার, অতি উন্নত জ্যামার—সবকিছুই এখন এই নবতর শক্তিগুলির হাতে এসে গিয়েছে৷ কক্ষপথ থেকে পৃথিবীতে আঘাত হানতে তাদেরও অসুবিধা নেই৷ আর এটাই চিন্তায় ফেলেছে আমেরিকার প্রশাসনকে৷
সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে কক্ষপথে রাশিয়ার একটি স্যাটেলাইটের অদ্ভুত আচরণ লক্ষ্য করেন মার্কিন প্রশাসন৷সেখান থেকে ওয়াশিংটনের মনে সন্দেহ জাগে যে, এবার হয়ত কক্ষপথ থেকে শক্রুর উপর আক্রমণের তোড়জোড় শুরু করেছে মস্কো৷ জানা গিয়েছে, মহাকাশে জিও ষ্টেশনারী অরবিটে আগাম কোনও জানান ছাড়াই দুটি মার্কিন স্যাটেলাইটের মাঝে চলে আসে রাশিয়ার একটি স্যাটেলাইট৷ সিরিওর ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ভিক্টোরিয়া স্যামশন জানিয়েছেন, তাদের কাছে মার্কিন স্যাটেলাইট গুলির রক্ষা করাই হল সবচেয়ে বড় প্রাধান্যের বিষয়৷ কারণ এরফলে তাদের দেশের নিরাপত্তা রক্ষিত হয়৷
অন্যদিকে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার থেকে পিছিয়ে নেই চিনও৷ ২০১৩ সালে তিনটি ছোটো স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল কক্ষপথে৷ যার মধ্যে একটি ছিল রোবোটিক৷ ফলে খুব স্পষ্ট করে আমেরিকা জানিয়েছে দিয়েছে যে বর্তমানে তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে নিজেদের তথ্যকে সঠিক ভাবে নিরাপদে রাখা৷যাতে তা চিন ও রাশিয়ার হাতে না পরে যায়৷-কলকাতা২৪
১৬ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস