মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ০৪:০৩:৪৩

পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের দিক থেকে চীন, রাশিয়ার পর আমেরিকাও মুখ ফিরিয়ে নিল!

পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের দিক থেকে চীন, রাশিয়ার পর আমেরিকাও মুখ ফিরিয়ে নিল!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিবেশি পাকিস্তানকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র আক্রমণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে রাজি হল না আমেরিকা। ভারত ও পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতানৈক্য মিটিয়ে নিক, পরামর্শ হোয়াইট হাউজের। গত কয়েক সপ্তাহে সন্ত্রাস এবং ভারত-পাক বিবাদ ইস্যুতে আমেরিকা বার বার স্পষ্ট ভাবে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে। কিন্তু সোমবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র যা বলেছেন, তাতে ওয়াশিংটনের অবস্থানে সামান্য হলেও বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্রিকস সম্মেলন শেষ হওয়ার পর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মোদির চড়া পাকিস্তান বিরোধিতার সমালোচনা করেছে।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস-এর শীর্ষ সম্মেলন রবিবার গোয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই মঞ্চেও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বিরোধ তথা সন্ত্রাসকে অন্যতম মূল আলোচ্য করে তুলে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে চেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি। সন্ত্রাস ইস্যুতে বার বার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে যে রাশিয়া, তারাও কিন্তু ব্রিকস সম্মেলনে পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনায় কোনও আগ্রহ দেখায়নি।

আর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, কোনও একটি দেশ বা ধর্ম বা জাতির নামকে সন্ত্রাসের সঙ্গে জুড়ে দেখানোর নীতিতে বেজিং বিশ্বাসী নয়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে পাকিস্তানও অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে বলে চীনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মন্তব্য করা হয়। তবে ভারতের অস্বস্তি এখন আর শুধু চীনের সেই মন্তব্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন মুখপাত্র যে ভাবে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন, তাতেও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

মোদি ব্রিকস মঞ্চে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের ধারক ও বাহক (মাদারশিপ অব টেররিজম)।’ মোদির এই মন্তব্য সম্পর্কে আমেরিকার অবস্থান জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জশ আর্নেস্ট বলেন, ‘‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি ঠিক মতো অবহিত নই। তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে গভীর মতভেদ রয়েছে, তা মিটিয়ে নেওয়ার শান্তিপূর্ণ পথ খুঁজতে আমরা দু’দেশকেই পরামর্শ দিয়েছি।’’

আমেরিকার এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। সম্প্রতি সন্ত্রাস ইস্যুতে বার বার ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে যে ভাবে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিচ্ছিল আমেরিকা, জশ আর্নেস্টের মন্তব্যে সেই চড়া সুরের অনুপস্থিতি রয়েছে। তা হলে কি ভারতের কূটনৈতিক আক্রমণকে ‘অতিরিক্ত আগ্রাসন’ বলে মনে করছে আমেরিকাও? প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ভারতের কূটনীতিক মহলেও। -আনন্দবাজার।
১৮ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে