আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রামে খবর ছড়িয়েছিল যে মাটি খুঁড়লেই স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে। এ খবর শুনে আশেপাশের গ্রাম-গঞ্জ থেকে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন শ'খানেক মানুষ। শাবল, কোদাল - যে যেমন পেরেছেন, তেমন যন্ত্র দিয়ে খুঁড়তে শুরু করেছিলেন মাটি। মহিলা, পুরুষ, এমন কি কমবয়সীরাও ছিল ওই ভিড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের টঙ্ক জেলায়। খবর বিবিসি’র।
পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন কোনও দিন তিনশো, কোনও দিন চার মানুষ হাজির হচ্ছিলেন মালপুরা থানা এলাকার জানকিওয়ালা গ্রামে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট রতন লাল ভার্গব বলছিলেন, "জানকিওয়ালা গ্রামে স্বর্ণ মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে মাটি খুঁড়লেই, এরকম একটা গুজব কেউ বা কারা ছড়িয়েছিল। হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে খবরটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শয়ে শয়ে মানুষ গত কয়েকদিন ধরে ওখানে গিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করেছিলেন। স্থানীয় আধিকারিকরা গিয়েছিলেন গ্রামটিতে"।
গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানের টঙ্ক জেলার ওই গ্রামটিতে এই মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন খোঁজার নাটকে অবশেষে যবনিকা পড়েছে। প্রশাসন যে কয়েকজন কর্মকর্তাকে জানকীওয়ালা গ্রামে পাঠিয়েছিল মানুষকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়ি পাঠাতে, তাদের মধ্যে ছিলেন মালপুরার তহশীলদার সুভাষ গোয়েল।
মি. গোয়েল বিবিসিকে বলছিলেন, "গ্রামের লোককে আমরাতো বুঝাতেই পারছিলাম না যে মাটির নীচে গুপ্তধন থাকার খবরটা একটা গুজব। শেষমেশ মেশিন দিয়ে ওই জায়গার মাটি সম্পূর্ণ তুলে ফেলে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছি যে কোথাও কোনও গুপ্তধন নেই। আজ আর নতুন করে কেউ আসেনি"।
স্বর্ণমুদ্রা বা গুপ্তধন পাওয়ার গুজব ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এর আগেও ছড়িয়েছে। আর এরকম কোনও খবর ছড়ালেই কখনও শয়ে শয়ে, কখনও আবার হাজারে হাজারে মানুষ জড়ো হয়ে যান।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুপ্তধন অধরাই থেকে যায়, কারণ খবরগুলোই যে গুজব! আর আগে যা লোক মুখে ছড়াত, তার জায়গা এখন নিয়েছে হোয়াটস্অ্যাপের মতো যোগাযোগ মাধ্যম। আর তাই গুজবও বেশি ছড়াচ্ছে।
১৯ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি