আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ট্রেনে যেতে যেতে বছর বাইশের তরুণীর আলাপ হয় এক যুবকের সঙ্গে। আলাপ থেকে সম্পর্ক, তার পরে বিয়ের ভাবনা। কিন্তু বিয়ে আর করা হয়নি। বিয়ের টোপ দিয়ে প্রেমিকাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে দেড় লক্ষ টাকায় অসাধু চক্রদের কাছে বিক্রি করে দেয় সেই যুবক। মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি-র বিশেষ দল গাজিয়াবাদ থেকে তরুণীটিকে উদ্ধার করেছে। তবে যুবকের খোঁজ নেই। খবর এবিপি’র।
সিআইডি সূত্রের খবর, তরুণীটি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুরের বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে তার পরিবার অপহরণের অভিযোগ করে। সিআইডি খবর পায়, ওই তরুণীকে দিল্লির জিবি রোডে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তদন্তকারীদের দল দিল্লি গিয়ে তরুণীর দেখা পায়নি। তবে সেখানে ধরা পড়ে এক মহিলা। পুলিশ জানতে পারে, ওই বাড়ির একটি ঘরে কাঠের পার্টিশন সরালে মিলবে সুড়ঙ্গ। দু’টি বাঙালি মেয়েকে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে।
তল্লাশি চালিয়ে সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলে। সেখানে ৪টি মেয়েকে আটকে রাখা হয়েছিল। তাদের দু’জন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হলেও বারুইপুরের তরুণীটি সেখানে ছিল না। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, একটি মেয়েকে দিল্লি স্টেশন থেকে কলকাতামুখী কালকা মেলে উঠতে দেখা গিয়েছে। গাজিয়াবাদ স্টেশনে খবর পাঠিয়ে ও জিআরপি-র সাহায্য নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এটিই বারুইপুরের সেই অপহৃত তরুণী। উদ্ধার করা অন্য তরুণীদের দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সিআইডি জানাচ্ছে, দালাল চক্র জাল ছড়িয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসার শর্বরী ভট্টাচার্য জানান, পুলিশকে বারবার তল্লাশি চালাতে দেখেই দালালেরা মেয়েটিকে কলকাতামুখী ট্রেনে তুলে দিয়েছিল। তবে মাঝপথেই মেয়েটিকে নামিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
৮ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি