আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার। তবে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়ার আশংকা করছেন সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়।
এই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী কিংবা পরাজিত যেটাই হোন- মুসলিমরা সহিংসতার শিকার হওয়া নিয়ে শংকিত।
ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বক্তব্য প্ররোচিত হয়ে হিলারির পক্ষে কথিত কারচুপি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে স্থানীয় মিলিশিয়ারা আগ্নেয়াস্ত্র বহনের ঘোষণা দিয়েছে। এতে আতংক আরও বেড়েছে।
জর্জিয়ার আটলান্টা থেকে ৮৪ কিলোমিটার দূরে নিউটন কাউন্টিতে এমন বাস্তবতা দেখা গেছে।
গত আগস্টে আটলান্টার মুসলিম সম্প্রদায় কবরস্থানের জন্য একটি জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ওই উদ্যোগ প্রশাসন ও স্থানীয় শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে।
মুসলিমদের কবরস্থানের জায়গার কেনার বিষয়টি স্থানীয় 'জর্জিয়া সিকিউরিটি ফোর্স-৩%' মিলিশিয়া গ্রুপের নজরে পড়ে। পরে গ্রুপের সদস্য সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা ক্রিস হিলের নেতৃত্বে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিক্ষোভ করে তারা।
জর্জিয়ার মিলিশিয়ারা কানসাস মিলিশিয়ার সঙ্গে যুক্ত যারা একটি সোমালি মসজিদ এবং কমিউনিটি সেন্টার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। অবশ্য এফবিআই সেই পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দেয়।
এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মা'দ মসজিদের ইমাম মোহাম্মাদ ইসলাম বলেন, 'বিদেশে কিছু মুসলিমের সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য আমেরিকার সমাজের কিছু অংশ আমাদের দায়ী করতে চায়।'
তিনি বলেন, 'যারা এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটায় তাদের কোনো কিছুই আমরা মেনে নেব না। আমরা প্রথমত এবং প্রধানত আমেরিকান।'
মূলত নির্বাচন ঘিরে ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বক্তব্যে উৎসাহিত স্থানীয় মিলিশিয়াদের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের আশংকায় রয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়। তবে তারা চান, ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে পদেক্ষপ নেবে প্রশাসন। -আলজাজিরা, যুগান্তর।
০৮ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম